মানুষের অত্যাচারে মরল নানা স্মৃতির সাক্ষী
- Details
- by শিক্ষা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ঐতিহাসিক কৃষ্ণচূড়া গাছটি মারা গেছে মাস দুয়েক আগে, বিষয়টি এখন সামনে আসায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর মানুষের অত্যাচারে গাছটির এই হাল হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘদিনের অযত্ন-অবহেলা, দফায় দফায় ডালপালা কাটা, একের পর এক পোস্টার ও বিলবোর্ডের পেরেকে কৃষ্ণচূড়া গাছটির বেহাল দশা। এসব নিয়ে এতদিন তারা সোচ্চার হলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে মৃত এই গাছে এবার হেমন্তে গজায়নি সবুজ পাতা, গ্রীষ্মেও ফুটবে না রক্ত রাঙা ফুল।
হাজারো স্মৃতির সাক্ষী কৃষ্ণচূড়া গাছটির এমন রূপ দেখে মানতে পারছেন না ব্যথিত ও মর্মাহত হওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, সেখানে নতুন করে আবারো কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানো হোক। কিন্তু এমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট দিচ্ছেন, তাতেও কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙছে না।
বিগত ২০ বছরে অনেক কিছুর সাক্ষী গাছটিকে বাঁচাতে শেষ প্রান্তে এসে ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমান কর্মকর্তা রোজদার আলী রুপম। তিনি জানান, করোনার মধ্যে ব্যক্তি চেষ্টায় গাছটির পরিচর্যা নিলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকটিকে নিষ্প্রাণ লাগছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান টিপু সুলতান বলছেন, তিনি দায়িত্ব নেয়ার আগেই এমনটি ঘটেছে। নতুন করে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা এখনো নেননি তারা। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সেখানে শিগগিরই গাছ লাগানোর চেষ্টা করা হবে। এ ক্ষেত্রে কৃষ্ণচূড়া গাছ না হয়ে অন্য কোনো গাছ লাগানো হতে পারে।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর