আপনি পড়ছেন

দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর গতকাল শনিবার মধ্যরাতে বেনাপোল সীমান্ত থেকে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে উদ্ধার করে বিজিবি। এরপরই তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে সেই মামলায় জামিন দিলেও নতুন একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

kazal journalist newআদালতে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল

আজ রোববার বিকেলে সাংবাদিক কাজলকে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে নিয়ে আসা হয়। শুনানি শুরু হলে অবৈধভাবে দেশে অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর তাকে আটকে রাখতে নতুন করে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারের আবেদন জানায় পুলিশ।

সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্ত মামলায় ওই সাংবাদিককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। সেখান থেকে তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে সাংবাদিক কাজলের ছেলে মনোরম পলক বলেন, বাবা বেঁচে আছেন, এ জন্য শুকরিয়া। যারা এতদিন খোঁজখবর নেয়ার চেষ্টা করেছেন তাদের ধন্যবাদ। আপাতত এক মামলায় জামিন হয়েছে। বাকিগুলোতেও দ্রুত তার জামিনের আবেদন জানাই।

kazal journalistসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল

একটি সংবাদ প্রকাশ হওয়ার প্রেক্ষিতে গত ৯ মার্চ দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। ওই মামলার তিন নম্বর আসামি ছিলেন কাজল। কিছুক্ষণ পর কাজলের নামে আরেকটি মামলা করেন ক্ষমতাসীন দলের উসমিন আরা বেলি নামের এক নেত্রী। এই দুই মামলা হওয়ার পর দিন ১০ মার্চ নিখোঁজ হন কাজল।

নিখোঁজের পর দিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। সন্ধান চেয়ে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেন তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসি নয়ন। পরবর্তীতে নিউমার্কেট ও চকবাজার থানায় মামলা করতে চাইলে পুলিশ রাজি হয়নি। এক পর্যায়ে কাজলের পরিবার হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়। তারপর ১৮ মার্চে মামলা নেয় পুলিশ।