কর্ণাটকে হিজাবের অনুমতি দিয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠার আবেদন

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে ১৩টি মুসলিম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজ খোলার অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে হিজাব পরার অনুমতি দেওয়া হবে। খবর ইন্ডিয়া টুডে।

হিজাব পরায় ক্লাসে ঢুকতে পারেননি মুসলিম ছাত্রীরা, ফাইল ছবি

কর্ণাটকের শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কর্নাটকের যেখানে হিজাব নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছিল সেই দক্ষিণ কন্নড়ের উপকূলীয় জেলায় হিজাবের অনুমতি দেওয়া হবে এমন পিইউ কলেজ (প্রথম ও দ্বিতীয় পিইউসি) খোলার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আদালতের নির্দেশ দেখিয়ে হিজাব নিষিদ্ধ করেছে। ফলে মুসলিম ছাত্রীরা ধর্মীয় চিহ্ন বহন করে এমন পোশাক ছাড়াই কলেজে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। কিছু ছাত্রী হিজাব পরিধানের দাবিতে অনড় থাকায় তাদের শিক্ষাজীবন মাঝপথেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। হিজাব পরতে না দেওয়ায় অনেকে পড়াশোনাই ছেড়ে দিয়েছেন।

হিজাব পরার দাবিতে ছাত্রীদের আন্দোলন, ফাইল ছবি

এ বছরের শুরুর দিকে হিজাব পরা কয়েকজন ছাত্রীকে ক্লাসরুমে ঢুকতে না দিলে শুরু হয় বিতর্ক। পরে বিষয়টি অনেকদূর গড়ায়। এমনকি বিষয়টি আদালতেও যায়। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে যাওয়া হয় সর্বোচ্চ আদালতে। সেখান থেকে বলা হয়, পর্দা মুসলিম নারীদের আবশ্যকীয় কোনো বিষয় নয়। ফলে এটি ছাড়াই তাদেরকে ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে হবে।

সরকারি নির্দেশে কলেজ উন্নয়ন কমিটিকে এ বিষয়ে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়। প্রায় সব জায়গায় আদালতের রায়ের ওপর ভিত্তি করে ক্লাসরুমে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে অনেক অনুরোধ করেও এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরে মুসলিম ছাত্রীরা ক্লাস বা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।

এ অবস্থায় দক্ষিণ কন্নড় জেলায় কলেজ খোলার জন্য ১৪টি আবেদন এসেছে, যার মধ্যে ১৩টি এসেছে বিভিন্ন মুসলিম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে।