সেনা সরিয়ে নিতে রাশিয়ার প্রতি ৪২ দেশের আহ্বান

রাশিয়া অধিকৃত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় আবারো রকেট হামলা হয়েছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে অবিলম্বে রুশ সেনাদের প্রত্যাহারের দাবির মধ্যেই এ হামলা চালানো হলো। খবর সিয়াসাত ডেইলি।

জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

সম্প্রতি ৪২টি দেশের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পারমাণবিক স্থাপনায় রাশিয়ার সামরিক কর্মী ও অস্ত্র রাখা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা রাশিয়ান ফেডারেশনকে অবিলম্বে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং এর আশপাশের এলাকাসহ পুরো ইউক্রেন থেকে তার সামরিক বাহিনী এবং অন্যান্য সমস্ত অননুমোদিত কর্মীদের প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। যাতে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রের অপারেটররা সেখানে তাদের দায়িত্ব পুরোপুরিভাবে পালন করতে পারে।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)

ডিপিএ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ডসহ আরো অনেক দেশের পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এটি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাকে (আইএইএ) নিরাপদ পরিস্থিতিতে এবং সময়মতো ইউক্রেনের পরমাণু সুরক্ষার বিষয়টি যাচাই করতে সুযোগ দেবে।

ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গত মার্চ মাস থেকে রাশিয়ান সৈন্যদের দখলে রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেখানে বারবার হামলার ঘটনা ঘটছে। এসব হামলার জন্য উভয় পক্ষ পরস্পরকে দায়ী করে যাচ্ছে।

রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ বলছে, ইউক্রেনের জাতীয়তাবাদীরা বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় আঘাত করেছে। তারা ড্রোন, ভারি কামান ও রকেট লঞ্চার দিয়ে প্ল্যান্টে গোলা বর্ষণ করছে। অন্যদিকে শহরের ইউক্রেনীয় মেয়র দিমিত্রো অরলভ রাশিয়ান পক্ষ থেকে উস্কানিমূলক হামলার কথা বলছেন। একই সাথে তারা রাশিয়ান সৈন্যদের বিরুদ্ধে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে দুর্গ হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ করছেন, যেখান থেকে নিকোপোল ও মারহানেজের ছোট শহরগুলোতে হামলা চালানো হচ্ছে। তবে নিরপেক্ষ সূত্র দ্বারা কোনো পক্ষের কথাই নিশ্চিত করা যায়নি।

আইএইএর বিশেষজ্ঞরা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিদর্শন করতে চাইছেন। তবে জাতিসংঘ, রাশিয়া ও ইউক্রেন এ ব্যাপারে এখনো একমত হতে পারেনি। রিপোর্ট অনুযায়ী, নিরাপত্তা ও ভ্রমণসূচি নিয়ে বিরোধের কারণে জাতিসংঘ এখন পর্যন্ত আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রসিকে ভ্রমণের অনুমতি দেয়নি।