তাইওয়ানের স্বাধীনতা সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী সেক্রেটারি অব স্টেট ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্ক বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না এবং ‘এক চীন’ নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে বেইজিং তাইওয়ানে চাপ দিলে ভুল করবে। একটি ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার সময় তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্ক

ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্ক বুধবার বলেন, চীন ও তাইওয়ানের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি বদল হয়নি। ওয়াশিংটন ‘এক চীন’ নীতিতে একমত এবং তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না। তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন হয়নি, এটা যুক্তরাষ্ট্র চীনকে স্পষ্ট করেছে।

খবরে বলা হচ্ছে, চীন তাইওয়ানকে তার প্রদেশ হিসাবে দেখে। মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপেই সফরে চীন ব্যাপক ক্ষোভ দেখিয়েছে ও তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া চালিয়েছে। তবে তাইওয়ান বেইজিংয়ের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে এবং নিজেকে স্বাধীন দেশ হিসেবে মনে করে।

তাইওয়ান সফরে ন্যান্সি পেলোসি

ক্রিটেনব্রিঙ্ক বলেন, চীন পেলোসির সফরকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং শান্তি বিঘ্নিত করেছে। এই পদক্ষেপগুলো তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের তীব্র চাপের অংশ, যা চীন আগামীতেও চালিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। চীন তাইওয়ানকে জবনদস্তিমূলক ভয় দেখাতে চায় এবং এর স্বাধীনতাকে খর্ব করতে চায় তা স্পষ্ট।

তবে তিনি মনে করেন, বেইজিংয়ের সাথে মার্কিন যোগাযোগের লাইনগুলো উন্মুক্ত থাকবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান প্রণালীর মধ্য দিয়ে নিয়মিত নৌ ট্রানজিট পরিচালনা করে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান নতুন বাণিজ্য উদ্যোগ: এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান একটি নতুন উদ্যোগের অধীনে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে। এজন্য তারা একটি অর্থবহ চুক্তিতে পৌঁছাতে চায়। ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের অফিস জানিয়েছে, বুধবার দুই পক্ষ বাণিজ্যিক আলোচনার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। আশা করা হচ্ছে প্রথম দফা আলোচনা এই শরতের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ সারাহ বিয়াঞ্চি এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অর্থপূর্ণ ফলাফল অর্জনের জন্য একটি উচ্চাভিলাষী সময়সূচী অনুসরণ করার পরিকল্পনা করছি। আলোচনার ম্যান্ডেটে এগারোটি বাণিজ্য এলাকাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। যা একবিংশ শতাব্দিতে একটি ন্যায্য, আরও সমৃদ্ধ এবং টেকসই অর্থনীতি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।