ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জঙ্গি হামলায় বিএসএফ সদস্য নিহত

ত্রিপুরায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের হামলায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের এক সদস্য নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার উত্তর ত্রিপুরার কাঞ্চনপুর মহকুমায় আনন্দবাজার পুলিশ স্টেশনের আওতাধীন সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিএসএফ এ ঘটনার জন্য এনএলএফটিকে দায়ী করেছে। খবর এনডিটিভি।

সীমান্ত টহলে বিএসএফ, ইনসেটে গ্রিজেশ কুমার

ত্রিপুরার এসপি কিরণ কুমার জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বিএসএফ সদস্যরা উত্তর ত্রিপুরা জেলার আনন্দবাজার থানার অন্তর্গত সিমানাপুর সীমান্ত ফাঁড়িতে টহল দিচ্ছিল। প্রায় জনবিহীন ওই জায়গার একদিকে ভারতের ত্রিপুরা ও মিজোরাম এবং অন্যদিকে বাংলাদেশের অবস্থান। সেখানে কাঁটাতারের বেড়ার আড়ালে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা হঠাৎ বিএসএফ সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

বিএসএফ সদস্যরাও পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে। সে সময় এক বিএসএফ জওয়ানের শরীরে চারটি গুলি লাগে। দ্রুত তাকে আগরতলার আইএলএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি করার পরপরই ওই জওয়ান মারা যান।

ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা (এনএলএফটি), ফাইল ছবি

বিএসএফ সূত্র জানায়, ৫৩ বছর বয়সী নিহত ওই বিএসএফ সদস্যের নাম গ্রিজেশ কুমার উদে। তার বাড়ি মধ্যপ্রদেশের মান্ডলা জেলায়। পুলিশ জানায়, পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরতে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে ত্রিপুরা পুলিশ ও বিএসএফ। নিরাপত্তা বাহিনীর এ হামলার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব ত্রিপুরাকেই (এনএলএফটি) প্রাথমিকভাবে দায়ী করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, স্বাধীন স্বশাসিত ত্রিপুরা রাষ্ট্রের দাবিতে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে রক্তাক্ত আন্দোলন চালাচ্ছে উপজাতিভিত্তিক সংগঠন ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা বা এনএলএফটি। ভারতের সঙ্গে ত্রিপুরার অন্তর্ভুক্তির চুক্তি তারা মানে না।

সংগঠনটির কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। পরে এটি বিস্তৃত হতে থাকলে এক সময় প্রিভেনশন অফ টেররিজম অ্যাক্ট (পোটা) অনুসারে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। গত বছরও ত্রিপুরার আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে এনএলএফটির চোরাগোপ্তা হামলায় বিএসএফের দুই জওয়ান নিহত হয়েছিলেন।