জল্পনা শেষ, নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস

ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন লিজ ট্রাস। বরিস জনসনের মন্ত্রিসভার এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী কনজারভেটিভ পার্টির নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ও অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককে ২০ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন। মার্গারেট থ্যাচার ও টেরিসা মের পর লিজ ট্রাস হচ্ছেন ব্রিটেনের ইতিহাসে তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী।

মার্গারেট থ্যাচার ও টেরিসা মের পর ব্রিটেনের ইতিহাসে তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস

ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচনে ছয় সপ্তাহ ধরে চলা প্রতিযোগিতার শেষ ধাপ অবধি লিজ ট্রাস পেয়েছেন ৫৭ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাক পেয়েছেন ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট। ৪৭ বছর বয়সী লিজের প্রাপ্ত মোট ভোট ৮১, ৩২৬। অন্যদিকে ঋষি পেয়েছেন ৬০,৩৯৯ ভোট।

অত্যন্ত সংকটময় সময়ে ব্রিটিশ সরকারের হাল ধরতে চলেছেন লিজ ট্রাস। বলা চলে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আর কোনো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে এতো বেশি চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে ক্ষমতা গ্রহণ করতে হয়নি। কোভিডের প্রাদুর্ভাবের কারণে থমকে পড়া অর্থনীতিতে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও সার্বিক মূল্যস্ফীতির বিশাল চাপ, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে আসার পর ব্রাসেলসের সঙ্গে নানা প্রতিদ্বন্ধিতা- সবকিছু সামনে রেখেই দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি।

নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত হবার পর লিজ বলেছেন, তিনি কর হ্রাস ও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ঘোষণা দেবেন। এর আগে নির্বাচনী প্রচারণার সময়ও তিনি আয়কর ও ভ্যাটসহ বিভিন্ন ধরনের কর-শুল্ক প্রত্যাহার ও হ্রাসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধি ও জনগণের কল্যাণে ভর্তুকি বাড়ানোর কথা বলেছেন।

অর্থনীতিবিদরা লিজ ট্রাসের এসব পরিকল্পনাকে বাস্তবতা বিবর্জিত বলে আখ্যা দিয়েছেন। কর হ্রাসের ফলে যেখানে সরকারের আয় কমবে সেখানে তিনি কিভাবে ভর্তুকি ও বরাদ্দ বৃদ্ধি করবেন, সে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। পরস্পরবিরোধী এসব পদক্ষেপের মধ্যে লিজ ট্রাস কতটুকু ভারসাম্য রাখতে পারেন, সেটাই দেখার বিষয় হয়ে রইল।