ইয়েমেনে আল-কায়েদা ও এসটিসি সংঘর্ষ, নিহত ২৬

যুদ্ধকবলিত ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে তুমুল সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী দল এসটিসি ও জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা। গতকাল মঙ্গলবার দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরা।

এসটিসি যোদ্ধাদের উল্লাস

ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চল বিশেষকরে আবিয়ান প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ এখন আরব আমিরাতের মদদপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল, এসটিসির হাতে। তবে সম্প্রতি ওই অঞ্চলে শক্তি বাড়িয়েছে আরেক জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা। তাতে দুই পক্ষের মধ্যে বেড়েছে সংঘাত।

এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রাদেশিক তল্লাশি চৌকিগুলোতে আকস্মিক হামলা চালায় আল-কায়েদা যোদ্ধারা।

এসটিসির সামরিক মুখপাত্র মোহাম্মদ আল নাকিব জানান, হামলাকারীরা রকেট-প্রপেলড গ্রেনেড, ভারি অস্ত্র ও সমরযান নিয়ে আবিয়ানের আহবার জেলার তল্লাশি চৌকিগুলোতে হামলা চালায়। মুহুর্তেই গোটা এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।

তিনি জানান, সংঘর্ষে এসটিসির ২০ সদস্য নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে আছেন এসটিসির সন্ত্রাসবিরোধী ব্রিগেডের কমান্ডার ইয়াসির নাসের শাই। অন্যদিকে হামলাকারী আল-কায়েদার ছয় সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন।

ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে গত আট বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। হুথিদের দখলে রয়েছে রাজধানী সানা। তবে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করছে সামরিক জোটেরই সদস্য আরব আমিরাতের মদদপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গ্রুপ এসটিসি। তাদের টিকে থাকার জন্য হুথিসহ আল-কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে।

আরব পেনিনসুলা আল-কায়েদাকেও (এপিএকিউ) ইরান সমর্থিত হুথি, সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটসহ অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে। এদিকে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় গত এপ্রিল থেকে ইয়েমেনে হুথির সঙ্গে সৌদি সামরিক জোটের অস্ত্রবিরতি চললেও ছোটখাটো সহিংসতা ঘটছে প্রতিনিয়তই।