জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রকে ধুয়ে দিলেন ল্যাভরভ

জাতিসংঘে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। তার বক্তব্য, পশ্চিমারা রাশিয়াকে ধ্বংস করতে চায়। তারা মারাত্মক রুশোফোবিয়া ছড়াতে ব্যস্ত। তারা যেভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লেগেছে, তা নজিরবিহীন ও কদর্য মানসিকতার পরিচয়। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

সের্গেই ল্যাভরভ

ল্যাভরভের অভিযোগ, পশ্চিমারা শুধু যুদ্ধে রাশিয়াকে পরাজিত দেখতে চায় না, তারা রাশিয়াকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করতে চায়।

খবরে বলা হচ্ছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গত কয়েকদিন ধরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনামূলক বক্তব্য চলছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে মূলত ওয়াশিংটন। রাশিয়ার পক্ষ থেকে ল্যাভরভ সেসব সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে পশ্চিমাদের একপ্রকার ধুয়ে দিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত কড়া ভাষায় পশ্চিমাদের নিন্দা করেন।

ল্যাভরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে পুরো বিশ্ব তাদের চেয়ে পিছিয়ে থাকুক। কিন্তু পুরো বিশ্ব তাদের পেছনে থাকতে রাজি নয়। যুক্তরাষ্ট্র ১৯ শতকে পুরো বিশ্বে মার্কিন নীতি চাপিয়ে দিয়েছিল। ২০ শতকে ঠাণ্ডা যুদ্ধের নামে খবরদারি চালিয়েছিল। ২০০০ সালে ইরাকে যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার নামে নগ্ন হস্তক্ষেপের জন্যও দায়ী যুক্তরাষ্ট্র। তারা একাই পুরো বিশ্ব শাসন করতে চেয়েছে বারবার। কিন্তু সেই দিন আর নেই। এখন সবাই নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী আগাতে চায়, বিশ্বের বুকে মাথা তুলতে চায়।

রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঠাণ্ডাযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে মনে করেছিল, পুরো বিশ্ব তাদের পদতলে চলে গেছে কিংবা পৃথিবীর একচ্ছত্র আধিপত্য দখল করেছে। তারা একপর্যায়ে নিজেকে স্বঘোষিত ‘বিশ্বপ্রভু’ হিসেবে ভাবতেও শুরু করেছে।

ল্যাভরভ মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র একই উদ্দেশ্যে তাইওয়ানকে টার্গেট করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের ধোয়া তুলে তারা মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা কায়েম করেছে। তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে। তারা তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা দেওয়ারও ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।

ল্যাভরভ গত শুক্রবার ও শনিবার ইউক্রেনের দখলীয় অঞ্চলে গণভোটকে সমর্থন করেন। তিনি বলেন, এসব অঞ্চল শতশত বছর ধরে রুশ নাগরিকরা তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য নিয়ে বসবাস করে আসছে। সেখানে তাদের জমি-জিরাত, সহায়-সম্পদ রয়েছে।