আইএসের ঘাঁটিতে ইরাকি সেনাবাহিনীর বিমান হামলা

ইরাকের দালিয়া প্রদেশে সশস্ত্র গোষ্ঠী আইএসের হেডকোয়ার্টারে বিমান হামলা চালিয়েছে ইরাকি সেনাবাহিনী। প্রদেশটির কারা তাপা শহরে আইএসের ওই সদরদপ্তর অবস্থিত। তবে হামলায় ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এমইএইচআর নিউজ।

ইরাকি সেনাবাহিনী

ইরাকি বাহিনীর মুখপাত্র কমান্ডার ইন চিফ মেজর জেনারেল ইয়াহইয়া রাসুল জানান, ইরাকি যুদ্ধ বিমান আইএসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। হামলায় ভারি বোমা ব্যবহার করা হয়েছে।

ইরাকে আইএসের পতনের পর এখনও কিছু অঞ্চলে তাদের দৌরাত্ম্য রয়েছে। ইরাকি নাগরিক ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তারা প্রায়ই অভিযান চালায়। বাগদাদের কিছু অংশেও তাদের উপস্থিতি বিদ্যমান। এছাড়া দালিয়া, নিনেভেহ, সালাদিন, কিরকুক এবং আল আনবার অঞ্চলে আইএসের উপস্থিতি রয়েছে। ইরাকি সেনাবাহিনী প্রতিনিয়ত আইএসকে উৎখাত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস) আল-কায়েদা ইন ইরাকের (একিউআই) কর্মীদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল। সিরিয়ায় প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য সংগঠনটির নাম তারা ‘আইএসআইএস’ গ্রহণ করেছিল। আইএসের নেতৃত্বে ছিলেন আবু বকর আল-বাগদাদি, যিনি ২০১৪ সালের জুন মাসে একটি ইসলামিক খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর এক মার্কিন অভিযানে বাগদাদি নিহত হন। আইএস সিরিয়ার সংঘাত এবং ইরাকের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাকে কাজে লাগিয়ে ভূখণ্ড দখলের প্রচেষ্টা চালায়। ২০১৯ সালে আইএসকে পরাজিত করার জন্য গ্লোবাল কোয়ালিশন নামে কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল মুক্ত করেছে। ইরাক, সিরিয়া এবং অন্যান্য দেশে গোষ্ঠীটির মূলোৎপাটনে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

২০১৫ সালের নভেম্বরে নভেম্বরে আইএস প্যারিসে একাধিক সমন্বিত হামলা চালায়। এসব হামলায় একজন আমেরিকানসহ প্রায় ১৩০ জন নিহত ও ৩৫০ জনেরও বেশি আহত হয়। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে আইএস ব্রাসেলসে দুটি হামলা চালিয়ে চার মার্কিন নাগরিকসহ ৩২ জনকে হত্যা করে। ২০১৬ সালের জুনে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে পালস নাইটক্লাবে আইএসের বন্দুকধারী ৪৯ জন ও ৫৩ জনকে আহত করে।