ইরানে ১২শর বেশি বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার

ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে একজন তরুণীর মৃত্যুর পর দেশটিতে ১০ দিনের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় ইরান সরকার ১ হাজার ২০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। খবর এএফপি।

ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ

সবশেষ উত্তর প্রদেশের মাজানদারানে ৪৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর মাহশা আমিনির মৃত্যুর ঘোষণার পর বিক্ষোভ শুরু হয়।

কুর্দি তরুণী মাহশা আমিনিকে তেহরানে হিজাব ও শালীন পোশাক পরার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। উত্তর প্রদেশের প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ করিমি সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএকে জানান, বিক্ষোভকারীরা মাজানদারানের বিভিন্ন অংশে সরকারি ভবনে হামলা করে এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করেছে।

স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিল। সরকারের দাবি, তাদের নেতৃত্বে ছিল বিদেশি বিপ্লবী এজেন্টরা। গত শনিবার গিলান প্রদেশের কর্তৃপক্ষ ৬০ জন মহিলাসহ ৭৩৯ জনকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেয়। স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ফার্স সংবাদ সংস্থা গতকাল রোববার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হরমোজগানে ৮৮ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তারের খবর দিয়েছে।

ফার্স নিউজের খবরে উত্তর-পশ্চিম শহর জাঞ্জান, তেহরানের পশ্চিমের কারাজ এবং দক্ষিণ-পূর্বের কেরমানেও গ্রেপ্তারের খবর দিয়েছে। ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম হোসেইন মোহসেনি দাঙ্গার মূল ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিচার বিভাগের মিজান অনলাইন ওয়েবসাইটে তিনি ওই হুঁশিয়ারি দেন।

সরকারি তথ্যমতে, বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরানে কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বিক্ষোভকারী। আজ সোমবার তাসনিম বার্তা সংস্থার প্রকাশিত ছবিগুলোতে রাজধানী তেহরানের প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে পবিত্র শিয়া শহর কোমে বিক্ষোভকারীদের দেখা গেছে।

তাসনিম রিপোর্ট করেছে, নিরাপত্তা বাহিনী প্রধান উস্কানিদাতাদের ছবি প্রকাশ করেছে। বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, তাদের শনাক্ত করুন এবং কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিন।