চীনের পর্যদুস্ত অর্থনীতি: শূন্য কোভিড নীতির উল্লম্ফ প্রভাব

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় শূন্য কোভিড-নীতির ফলে চীনে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হয়েছে, লাখ লাখ মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। কঠোর এই নীতির ফলেই এ বছর পূর্ব এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় চীনের অর্থনীতি সবথেকে ধীরগতির প্রবৃদ্ধি দেখবে বলে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

চীনের পতাকা

সিডনি মর্নিং হেরাল্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীনের কোভিড মোকাবেলায় কঠোর নীতি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের মূল্যে যে প্রভাব পড়েছে তা চীনের অর্থনীতিকেও নাড়া দিয়েছে।

অবকাঠামোগত বিনিয়োগ এবং প্রণোদনার মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার চেষ্টা করছে চীন। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় চীনের ড্রাকোনিয়ান নীতি জনসাধারণেরও দুর্ভোগ ডেকে এনেছে।

বিশ্বব্যাংক ২০২২ সালে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যে অনুমান করেছিল, মঙ্গলবার তা ২ দশমিক ৮ শতাংশ হ্রাস করেছে। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানটি বেইজিংয়ের ‘শূন্য-কোভিড’ নীতি এবং রিয়েল এস্টেট সংকটকে ইঙ্গিত করেছে। যদিও বিশ্বব্যাংক এপ্রিলে ৫ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল বলে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস জানিয়েছে।

শূন্য কোভিড নীতিতে চীনের প্রধান কেন্দ্রগুলোতে সম্পূর্ণ বা আংশিক লকডাউন আরোপ করা হয়েছিল, যাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এ বছর করোনভাইরাসের সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় দেশে আরও গুরুতর লকডাউন দেওয়া হয়েছিল।

দেশে বারবার লকডাউনের কারণে অনেক মানুষ চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। তাদের বেশিরভাগই সেবা শিল্পে কর্মরত ছিলেন। লকডাউনে কারখানাগুলোর উৎপাদনে প্রভাব পড়ে, সরবরাহ চেইনে ব্যাঘাত ঘটে, পণ্যের চালান পৌঁছাতে দেরি হয়, ফলে ২ দশমিক ৫ শতাংশ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটে।