এরদোয়ানের নির্দেশে লিবিয়া সফরে কূটনীতিক দল

তুরস্কের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল আজ সোমবার লিবিয়া সফর করছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের নির্দেশে তাদের এই সফর। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু।

লিবিয়া ও তুরস্কের পতাকা।

সফরে দুদেশের দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলোর পাশাপাশি লিবিয়ার রাজনৈতিক উত্তরণ প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হবে। সফরে লিবিয়ান কর্তৃপক্ষের সাথে প্রতিনিধি দলটি সামরিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতার বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করবে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড, আল মনিটর।

আল-মনিটর জানায়, এর আগে ১ সেপ্টেম্বর ইস্তাম্বুলে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু লিবিয়ার দুই প্রধানমন্ত্রী হামিদ ও বাঘাশার সঙ্গে বৈঠক করেন। তুরস্কের কর্মকর্তারা আলাদাভাবে দুই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। মূল উদ্দেশ্য, দেশটির রাজনেতিক উত্তরণ প্রক্রিয়ায় তুরস্ক অংশ নিতে চায়। লিবিয়ার দুই নেতা আলাদা আলাদা হোটেলে উঠেছিলেন, কারণ তারা পরস্পর দেখা করতে চাননি।

ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, তুরস্কের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী ফেইথ ডনমেজ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকর, বাণিজ্যমন্ত্রী মেহমেদ মাস, যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক ফাহরেত্তিন আলতুন এবং প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র ইব্রাহীম কালিন।

লিবিয়ায় বর্তমানে দুই পক্ষ দেশটি শাসন করছে। দুইপক্ষ দুই অঞ্চল শাসন করছে এবং তাদের আলাদা মন্ত্রিসভা রয়েছে। তাদের একজন হলেন আবদুল হামিদ দ্বেইবেহ ও অপরজন ফাথি বাঘাশা। দুপক্ষের মধ্যে সংঘাত সর্বদা চলমান। সর্বশেষ গত আগস্টে দুপক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায়।

ত্রিপলি ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছেন আবদুল হামিদ এবং তবরুক ভিত্তিক আরেকটি শাসন ব্যবস্থা চালাচ্ছেন ফাথি বাঘাশা। ২০২০ সালে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর এখন সবচেয়ে অবস্থা খারাপ। হামিদ ও বাঘাশা দুপক্ষই লিবিয়ার পুরো নিয়ন্ত্রণ চান।

এর আগে তুর্কি নৌবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মধ্য ভূমধ্যসাগরে যৌথ মহড়া চালানোর ব্যাপারে দুদেশের নৌবাহিনী একটি চুক্তিতে একমত হয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, তুর্কি নৌবাহিনী কমান্ডের অধীনে মহড়াটি অনুষ্ঠিত হবে। লিবিয়ান উপকূলে ওই মহড়ায় অংশ নেবে তুর্কি মিসাইল ফ্রিগেট টিসিজি গাজিয়ানটেপ এবং লিবিয়ার ল্যান্ডিং শিপ আইবিএন ওইউএফ-১৩২।