বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের চেয়েও পিছিয়ে ভারত

ক্ষুধার রাজ্যে আরও অবনতি ঘটলো ভারতের। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে (গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স) এবার ১২১টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১০৭। গত বছর এ তালিকায় ভারতের অবস্থান ছিল ১০১ নম্বরে। সেই হিসেবে গত এক বছরে ক্ষুধাসূচকে ছয় ধাপ নেমে গেছে ভারত। বাংলাদেশ,পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের চেয়েও অবস্থা খারাপ বিশ্বের দ্বিতীয় জনসংখ্যার দেশটির। খবর এনডিটিভি ও আল জাজিরা।

ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপালের চেয়ে খারাপ অবস্থা ভারতের

আজ শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ব ক্ষুধা সূচক বা জিএইচআই রিপোর্টটি ‌যৌথভাবে প্রকাশ করেছে আইরিশ সংগঠন ‘কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ ও জার্মান সংস্থা ‘ওয়েল্ট হাঙ্গার হিল্ফে’। ক্ষুধা ও অপুষ্টির সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা তৈরি করা হয়।

তালিকায় দেখা গেছে, চীন, তুরস্ক, কুয়েতসহ ১৭টি দেশ রয়েছে তালিকার একেবারে উপরে। দেশগুলোর স্কোর পাঁচের কম। এ বছর ১০৭তম স্থানে রয়েছে ভারত। এ উপমহাদেশে সবচেয়ে ভাল অবস্থা শ্রীলঙ্কায়।  দেশটি রয়েছে ৬৪ নম্বরে। বাংলাদেশ রয়েছে ৮৪ নম্বর স্থানে। নেপাল ৮১ নম্বর ও পাকিস্তান ৯৯তম অবস্থানে রয়েছে।  

বৈশ্বিক ক্ষুধা তালিকা তৈরির সময় পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পাঁচটি স্তর রাখা হয়। যেসব দেশে ক্ষুধার পরিমাণ সবচেয়ে কম, সেই দেশগুলো  ‘ভাল’ স্তরে জায়গা পায়। এর পর রয়েছে মাঝারি, উদ্বেগজনক, ভীতিকর ও অত্যন্ত ভীতিকর।

জিএইচআই জানিয়েছে, ভারতে এবার সামগ্রিক ক্ষুধার অবস্থা উদ্বেগজনক স্তরে রয়েছে। গত তিন বছর ধরেই সূচকে অবনতি হচ্ছে ভারতের। ২০২১ সালে দেশটির অবস্থান ছিল ১০১ নম্বরে। তার আগের বছর ২০২০ সালে ভারত ছিল ৯৪ তম স্থানে।

এদিকে ক্ষুধা সূচকে ভারতের পতন দেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে আক্রমণ করেছে বিরোধী কংগ্রেস। কংগ্রেসের নেতা পি চিদম্বরম টুইটে বলেছেন, ২০১৪ থেকে গত ৮ বছরে মোদি সরকারের রাজত্বে দেশবাসীর অবস্থা খারাপ থেকে আরও খারাপ হয়েছে।

জিএইচআই প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করেছে ভারত। মোদি সরকার এই রিপোর্টকে জঘন্য ও বাস্তবের সঙ্গে সম্পর্কহীন বলে অভিহিত করেছে।

মোদির সরকারের দাবি, এই ধরনের সমীক্ষায় যে পদ্ধতি (মেথডোলজি) ব্যবহার করা হয়, তা ভারতের মতো বিরাট বৈচিত্রপূর্ণ দেশের ক্ষুধা পরিমাপের ক্ষেত্রে অবৈজ্ঞানিক।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্ষুধা পরিমাপের জন্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ওই পদ্ধতিকেই অবৈজ্ঞানিক বলে দাবি ভারতের মোদি সরকারের।