ক্যারিবিয়া থেকে তড়িঘড়ি দেশের পানে বরিস

ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ক্যারিবিয়া সফরে ছিলেন। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস পদত্যাগ করায় তিনি দ্রুত লন্ডনে ফিরছেন। নিজ দলের এমপিরা আবারও তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতে চায় বলে সঙ্কেত পেয়েছেন তিনি। এজন দ্রুত লন্ডনের পথে পা বাড়িয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে বরিসের অন্তত ১০০ জন এমপির সমর্থন লাগবে। খবর রয়টার্সের।

ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

লিজ ট্রাস গত বৃহস্পতিবার নাটকীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তার নিয়োগ দেওয়া মন্ত্রীরা মাত্র ছয় সপ্তাহ ক্ষমতায় থাকতে সক্ষম হয়েছেন। একে একে কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করলে লিজ ট্রাসও পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এরপরই গুঞ্জন ওঠে কে হচ্ছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। সবশেষ তথ্যে জানা যাচ্ছে,  নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ঋষি সুনাক ও বরিস জনসন।

গতকাল শুক্রবার ব্রিটেনের বাণিজ্যমন্ত্রী ডুড্রিজ বলেন, জনসন তাদের ডাকে সাড়া দিতে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন। আজ শনিবার তার লন্ডনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

স্কাই নিউজ জানিয়েছে, লন্ডনের ফেরার পথে যাত্রীদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন বরিস। এ সময় অনেকেই তার কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের (কোভিড নিষেধাজ্ঞা অমান্য) জন্য সমালোচনা করেন।

সাবেক সাংবাদিক কনজারভেটিভ পার্টির নেতা বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কোভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘরোয়া কর্মসূচি পালন করায় বিতর্কের মুখে পড়েন। সেই বিতর্কের শেষ হয় তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে। এজন্য তিনি তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। গত ২২ সেপ্টেম্বর বরিস পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বরিস জনসনের সরকারে ফেরা ব্রিটেনের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি করতে পারে। কারণ ছয় বছরে চার জন প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তনের ঘটনায় ব্রিটিশ জনগণের মধ্যে বিরক্তিকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।