ইসলামোফোবিয়া মোকাবিলার আহ্বান ওআইসির

বর্তমানে বৈশ্বিক হুমকির মধ্যে নিঃসন্দেহে ইসলামোফোবিয়া অন্যতম। ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি বৈরিতা আজ সারা বিশ্বে তীব্রভাবে স্পষ্ট হচ্ছে। এ ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। খবর আনাদোলু।

ফাহরেতিন আলতুন, ডান দিক থেকে দ্বিতীয়

তুরস্কের ইস্তাম্বুুলে গতকাল শনিবার ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) তথ্যমন্ত্রীদের দ্বাদশ সম্মেলন ইসলামিক কনফারেন্স অব ইনফরমেশন মিনিস্টার্সের (আইসিআইএম) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তরের (ডিরেক্টরেট অব কমিউনিকেশন্স) প্রেসিডেন্ট ফাহরেতিন আলতুন এসব কথা বলেন।

ফাহরেতিন আলতুনের সভাপতিত্বে ওআইসি মহাসচিব হুসেইন ইব্রাহিম তাহা এবং সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীরা কমব্যাটিং ডিজইনফরমেশন অ্যান্ড ইসলামোফোবিয়া (তথ্যবিকৃতি ও ইসলামভীতি প্রশমন) প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বক্তব্য রাখেন। এবারের সম্মেলনটির লক্ষ্য মিডিয়া ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইসলামী দেশগুলোর সহযোগিতার বিকাশ এবং শক্তিশালী করা। সম্মেলনে ৫৭টি দেশের মন্ত্রী এবং উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিরা ইসলামিক বিশ্বের মিডিয়া, যোগাযোগ ও তথ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করার বিষয়ে আলোচনা করেন।

তুরস্কে ওআইসির তথ্যমন্ত্রীদের দ্বাদশ সম্মেলন

ফাহরেতিন আলতুন বলেন, ভুল তথ্য বিশ্বজুড়ে ইসলামোফোবিয়ার বিস্তারকে ত্বরান্বিত করে। এই ইসলামোফোবিয়া বিশ্ব সম্প্রদায়কে বিভক্ত করে এবং বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলে। তাই, সমগ্র বিশ্বের উচিত ইসলামফোবিয়াকে একটি প্রকাশ্য ঘৃণামূলক অপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে দেখা এবং এই অপরাধের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে লড়াই করা। এই অপরাধের হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করা শুধুমাত্র মুসলমানদের নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও অন্যতম প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ইসলামোফোবিয়া ছড়ানোর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও গ্লোবাল থিঙ্ক ট্যাংকের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে আলতুন আরও বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, আন্তর্জাতিক মিডিয়া মুসলমানদের একটি অত্যন্ত নেতিবাচক প্রতিকৃতি এঁকেছে। তুরস্ক ও এর প্রতিষ্ঠানগুলো ইসলামোফোবিয়া মোকাবিলা এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।