ঐতিহাসিক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসলেন শি

তৃতীয় মেয়াদে চীনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব হাতে পেলেন শি জিনপিং। এর মাধ্যমে দেশটির ইতিহাসে তিনি মাওসেতুংয়ের পর সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হলেন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) তাকে আরও ৫ বছর মেয়াদে শীর্ষ নেতা হিসেবে নির্বাচিত করেছে। আজ রোববার এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে সিসিপি পেল ২০০ সদস্যের নতুন কমিটি। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ঐতিহাসিক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসলেন শি

সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিপিসির ২০তম শীর্ষ সম্মেলন বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে গতকাল শনিবার শেষ হয়েছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে শি জিনপিং তার ক্ষমতা আরও সংহত করার ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে গেলেন। তবে এবার দলের মধ্যে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। অনেককেই দল থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।

গত মার্চ মাসে সরকারের বার্ষিক আইনসভার অধিবেশন চলাকালীন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছিল, শি জিনপিং চীনের রাষ্ট্রপতি হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন। নতুন সম্মেলনের মাধ্যমে চীনা শাসকদের কেন্দ্রের নতুন অবস্থান সৃষ্টি করলেন শি। তিনি দেশটির বিশাল সামরিক বাহিনীরও নেতা।

এর আগে ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্টের দুই মেয়াদি সীমা বিলুপ্ত হয়। সে সময় শি জিনপিংয়ের আজীবন শাসন ক্ষমতার পথ প্রশস্ত হয়। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে চীনের উত্থানে শি-র ভূমিকা ভুলে যাওয়ার নয়। তিনি চীনের বিশাল সামরিক সম্প্রসারণে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

চীনা প্রেসিডেন্ট পরাশক্তি মার্কিনিদের দৌরাত্ম্য সামাল দিতে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছেন। একদিকে বিশ্ব নিয়ন্ত্রণের স্বপ্ন, অপরদিকে বিশ্বে মানবিকতা নিশ্চিত করা এখন তার মহান দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে চীনকে আরও বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

খবরে বলা হচ্ছে, শি জিনপিংয়ের নতুন আধিপত্য শুরু হলেও চীনের সামনে এখন বিরাট চ্যালেঞ্জ। ক্রমবর্ধনমান পশ্চিমা প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং বিরাট অর্থনীতি পরিচালনার যুদ্ধে তাকে বহুমুখী সংকট মোকাবেলা করতে হবে। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে চীনের ভূমিকায় নতুন মেরুকরণ আসে কিনা তা দেখার জন্য মুখিয়ে আছে বিশ্ব।