ইউক্রেন ছেড়েছে ১২ খাদ্যবাহী জাহাজ

কৃষ্ণ সাগরীয় নৌ করিডর দিয়ে আজ ইউক্রেনের বন্দর ছেড়ে গেছে ১২টি শস্যবাহী জাহাজ। মোট ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টন খাদ্যশস্য নিয়ে ইউক্রেনের ওডেসা, চেরনোমরস্ক ও জুঝনি বন্দর থেকে ইস্তাম্বুলের পথে যাত্রা করেছে এসব জাহাজ। রাশিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়াই কৃষ্ণ সাগরীয় করিডরে শস্যবাহী জাহাজ চলাচল অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘ, তুরস্ক ও ইউক্রেনের সমঝোতার আওতায় এসব পণ্য পরিবহন হচ্ছে।

মোট ৩ লাখ ৫৪ হাজার টন শস্যবোঝাই ১২টি জাহাজ আজ ইউক্রেনের বিভিন্ন বন্দর ছেড়ে গেছে

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়া ইউক্রেন থেকে খাদ্য রপ্তানি চালু রাখার ধারণা টেকসই কোনো সমাধান নয়। অন্যদিকে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার বলেছেন, নৌ করিডর সংক্রান্ত চুক্তিতে রাশিয়ার অংশগ্রহণ স্থগিত রাখার বিষয়টি কোনো পক্ষের জন্য লাভজনক হবে না। এ বিষয়ে কথা বলতে তিনি রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানান।

এর আগে গতকাল রাতে জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে রাশিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়াই কৃষ্ণ সাগরীয় নৌ করিডর অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘ, তুরস্ক ও ইউক্রেনের মধ্যে সমঝোতার কথা জানানো হয়। বিষয়টি রাশিয়াকে অবহিত করা হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, সমঝোতা অনুযায়ী সোমবার ১২টি জাহাজ ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগর উপকূলের বন্দর ছেড়ে যাবে এবং চারটি জাহাজ খাদ্য বোঝাইয়ের জন্য বন্দরে নোঙর করবে।

পৃথক খবরে জানা গেছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নৌ করিডর চুক্তিতে অংশগ্রহণ স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে শিকাগো কমোডিটি এক্সেচেঞ্জে গমের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। শনিবার দিনের লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত পণ্যটির ৭ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। সোমবার সকালে লেনদেন শুরুর পরও মূল্যবৃদ্ধি ছিল।

রাশিয়ার কৃষিমন্ত্রী দিমিত্রি পেট্রুশেভ বলেছেন, সবচেয়ে গরিব দেশগুলোর জন্য রাশিয়া থেকে পাঁচ লাখ টন খাদ্যশস্য সরবরাহের বিষয়ে তিনি তুর্কি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। গরিব দেশগুলোর জন্য খাদ্য সরবরাহের কথা বলে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির নৌ করিডর চালু হলেও মূলত ইউরোপীয় দেশগুলোতেই এসব শস্য যাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

জানা গেছে, জুলাই মাসে কৃষ্ণ সাগরীয় নৌ করিডর চালুর পর থেকে ইউক্রেনের বন্দর থেকে নিয়ে যাওয়া গমের মধ্যে ১৮ লাখ টন স্পেনে খালাস করা হয়েছে। ১৩ লাখ টন গম তুরস্কে খালাস করা হয়েছে। ৮ লাখ ৬০ হাজার টন গম ইতালির বন্দরে খালাস করা হয়েছে। ৮ লাখ ৪০ হাজার টন গম চীনের বন্দরে খালাস হয়েছে। চরম খাদ্য সংকটে থাকা দুই দেশ ইয়েমেন ও আফগানিস্তানে গেছে যথাক্রমে ৬৭ হাজার টন ও ৪০ হাজার টন গম।