লুলার জয়কে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনিরা

ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এর বিজয়কে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনিরা। সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিজয় ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশ্বব্যাপী সমর্থনকে বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করছে তারা।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ব্রাজিলের সাও পাওলোতে বক্তব্য দিচ্ছেন লুলা দা সিলভা

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আহমাদ আল-দেক দ্য নিউ আরবকে জানান, বলসোনারোর সময় ব্রাজিল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক ধাপ পিছিয়ে গেছে। ফিলিস্তিনি-ইসরায়েল সংঘাতে বলসোনারোর ভারসাম্যহীন দৃষ্টিভঙ্গির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'দা সিলভা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনের জন্য পরিচিত, তার মতামত জাতিসংঘের রেজুলেশনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।' 

বেথলেহেমের নিকটবর্তী একটি ছোট শহরের সাবেক মেয়র ৬৫ বছর বয়সী সালেম মেফ্রেহ লুলাকে বিজয়ী হতে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন। তিনি জানান, লুলা একদম ছোট অবস্থা থেকে উঠে এসেছেন এবং এখন বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতির নেতৃত্ব দেবেন। এছাড়া ফিলিস্তিনিদের জন্য তার সমর্থন রয়েছে।

প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভের নেতা ডক্টর মোস্তফা বারঘুতি বলেছেন, দা সিলভার নির্বাচনে বিজয় ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশ্বব্যাপী সমর্থনকে বাড়িয়ে তুলবে। এবং একটি বহু মেরু বিশ্বের পথ প্রশস্ত করবে।

এদিকে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই বিজয় গণতন্ত্রের বিজয়কে প্রতিফলিত করে। আমরা ব্রাজিলের জনগণকে অভিনন্দন জানাই যারা এর ভবিষ্যত এবং মানবতার ভবিষ্যতের নিরাপত্তার জন্য ভোট দিয়েছে।'

২০১০ সালে ব্রাজিল আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়। সে সময় লুলা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বলসোনারো ইসরায়েলপন্থী হিসেবে পরিচিত। ২০১৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই, তিনি তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক কৌশল অনুসরণ করেছিলেন। তিনি ইসরায়েলে ব্রাজিলের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, রোববার অনুষ্ঠিত ভোটে লুলা দি সিলভা ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিপক্ষ বলসোনারো পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ২ শতাংশ ভোট। লুলা ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ৭৭ বছর বয়সী বামপন্থী এই নেতা তৃতীয়বারের মত প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন।

সূত্র: দ্য নিউ আরব