ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে খেলাধুলাকে ব্যবহার করছে সৌদি আরব!

সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সাথে অনানুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য খেলাধুলাকে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে সৌদিতে অনুষ্ঠিত একটি ক্রীড়া ইভেন্টে প্রথমবার কোন ইসরায়েলি খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করায় ধারণা করা হচ্ছে, হয়তো খেলাধুলার মাধ্যমেই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

সৌদি আরব এবং ইসরায়েলের পতাকা

২৯ অক্টোবর সৌদি আরবে সুপার লিগ ট্রায়াথলন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ইসরায়েলি ট্রায়াথলেট শাচার সাগিভ। তিনি সৌদি আরবে খেলতে যাওয়া প্রথম ইসরায়েলি ক্রীড়াবিদ।

একইদিন বাহরাইনে অনুষ্ঠিত একটি টেনিস প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবের উঠতি টেনিস তারকা ইয়ারা আল-হোগবানি ইসরায়েলি ইসাবেল বিলাউসের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। অবশ্য হোগবানি ইসাবেলের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছেন। তিনি ফাইনালে রুশ টেনিস খেলোয়াড় তামারা এরমাকোভাকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হন।

হোগবানি চ্যাম্পিয়ন হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তার সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, ইসরায়েলি অ্যাথলেটের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিবর্তে প্রতিযোগিতা থেকে তার সরে দাঁড়ানো উচিত ছিল। 

টুইটার ব্যবহারকারী আব্দুল আজিজ লিখেছেন, ‘তার নিজেকে প্রত্যাহার করা উচিত ছিল। একটি দখলদার দেশ এবং আমাদের শত্রুর সাথে তার খেলা ঠিক হয়নি।' আরেক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'ইহুদিবাদীদের সাথে একটি খেলা প্রত্যাহার করা তার জন্য আরও সম্মানজনক হতো।' 

যদিও সৌদি আরব এখনো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু অ্যাক্টিভিস্ট এবং মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ, সাম্প্রতিক এসব ক্রীড়া ইভেন্টের মাধ্যমে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইছে মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল এই মুসলিম দেশটি।

এদিকে সৌদি আরব বারবার বলেছে যে তারা ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন না করার কয়েক দশকের পুরোনো আরব লীগের অবস্থানে অটল থাকবে। ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে সরে গেলে এবং গাজা উপত্যকার অবরোধ তুলে নিয়ে ফিলিস্তিনিদের সেখানে একটি কার্যকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি দিলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে।

তবে ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয়, আঞ্চলিক শত্রু ইরানকে প্রতিহত করার জন্য সৌদি আরব গোপনে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে।

সূত্র: দ্য নিউ আরব