ইউক্রেনকে আয়রন ডোম কেন দিচ্ছে না ইসরায়েল

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের পটভূমিতে ইরান এবং রাশিয়া এখন মিত্রে পরিণত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও গাঢ় ও প্রসারিত হয়েছে। এই বিষয়টি ইসরায়েলের জন্য ক্রমাগত মাথাব্যথার কারণ। ইসরায়েল ইউক্রেনকে আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিংবা অন্যান্য ধরনের বিমান প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি দিতে শুরু থেকেই সচেষ্ট ছিল না।

আয়রন ডোম

ইসরায়েলের কাছে এসব সরঞ্জাম পেতে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানিয়েছিল ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী। কিন্তু ইসরায়েলি কর্মকর্তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইসরায়েলে শুরু থেকেই কড়াকড়ি কথা বলেছে, যা ইউক্রেনকে যুদ্ধে টিকে থাকতে প্ররোচিত করেছে। জিউস নিউজ সিন্ডিকেটে প্রকাশিত জ্যাকব নাজেলের লেখা এক কলামে এসব কথা তুলে ধরা হয়েছে।

বলা হচ্ছে, ইরান রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। ইতোমধ্যে কামিকাজে ড্রোন দেওয়ার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। এছাড়া কথা উঠেছে, ইরান অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও রাশিয়াকে পাঠাতে পারে। তবে ইরান চেষ্টা করছে কিভাবে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো এড়ানো যায় এবং আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার সাথে সংযুক্ত থাকা যায়। রাশিয়ার সাথে মিলে সেই চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটি।

ইউক্রেনকে সাহায্য করতে এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তব্য হলো ইসরায়েলকে অবশ্যই সাহায্য করা। তবে জেরুজালেম অবশ্যই ইউক্রেনে আয়রন ডোম বা অন্যান্য অস্ত্র ব্যবস্থা পাঠাবে না এবং এটি আশা করা উচিত নয়।

আয়রন ডোমের দিকে নজর রেখেছে কিয়েভে। ইসরায়েলকে অস্বীকারকারীরাই মূলত ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছে, সিস্টেমটি ইউক্রেনে কাজ করবে না। তাদের দাবি, কয়েকটি কারণে ইসরায়েল ইউক্রেনে আয়রন ডোম এবং অন্যান্য সিস্টেম পাঠানোর সামর্থ্য রাখে না।

এক. ইউক্রেনকে দেওয়া যেকোনো অস্ত্র শেষ পর্যন্ত রাশিয়া এবং পরবর্তীতে ইরানের হাতে চলে যাবে। দুই. হিজবুল্লাহ, হামাস এবং ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের সম্ভাব্য বৃহত্তর ধ্বংসাত্মক সম্ভাবনা তৈরি হবে, যারা ভবিষ্যতে ইসরায়েলকে লক্ষ্যবস্তু করবে। তিন. ইসরায়েলের এখনও নিজস্ব অপারেশনাল প্রয়োজনের জন্য পর্যাপ্ত ইন্টারসেপ্টর নেই। চার. ইসরায়েল অস্ত্র ব্যবস্থা পাঠাতে রাজি হলেও ইউক্রেনীয় সেনাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হবে।

একথা মনে রাখতে হবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে প্যাট্রিয়টের মতো উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এটিও সত্য যে, যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব বাহিনীকে কভার করার জন্য পর্যাপ্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও নেই।