তুরস্কের প্রথম মনুষ্যবিহীন যুদ্ধবিমান ওড়ার জন্য প্রস্তুত
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
তুরস্ক এক ঘোষণায় জানিয়েছে, তাদের মনুষ্যবিহীন যুদ্ধবিমান এখন উড়তে প্রস্তুত। এরইমধ্যে এটি প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। ফলে এখন তাদের এই যুদ্ধবিমান আনুষ্ঠানিক ফ্লাইটের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ খবর জানিয়েছে মিডলইস্টমনিটর।
কিজিলেলমা
খবরে বলা হয়েছে, কিজিলেলমা নামের এই মনুষ্যবিহীন যুদ্ধবিমানটি গত মাসে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় টেকিরদাগ প্রদেশের একটি বিমান ঘাঁটিতে রানওয়ে রানসহ আনুষাঙ্গিক কিছু পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উতরে গেছে।
গত সপ্তাহে টেকঅফ পরীক্ষার পরে বিমানটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়রাক্টারের চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) সেলকুক বায়রাক্টার টুইটারে লেখেন, ‘কিজিলেলমাকে মাটিতে রাখতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’ অর্থাৎ তিনি খুব দ্রুত বিমানটির আনুষ্ঠানিক উড্ডয়নের প্রত্যাশা করছেন।
তুরস্কের আরেকটি মনুষ্যবিহীন ড্রোন
জানা গেছে, বায়রাক্টার দুই ধরনের কিজিলেলমা বিমান তৈরি করছে। বিমানগুলো পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত আকাশে থাকতে পারবে এবং ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত যে কোনো অভিযানে অংশ নিতে পারবে। পাশাপাশি এগুলো দেড় টন ওজনের বিভিন্ন সামগ্রী বহন করতে পারবে।
আশা করা হচ্ছে আগামী বছরের শুরুর দিকেই এই মনুষ্যবিহীন যুদ্ধবিমান আকাশে উড়বে। তবে শুধু এটাই নয়, তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের ১০০তম বার্ষিকীর বছর ২০২৩ সালে তুরস্কের প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগারে বেশ কিছু চমক দেখা যাবে। কিজিলেলমা ছাড়াও নানা ধরনের বেশ কিছু বিমান তৈরি করছে তারা। দেশটি এরই মধ্যে নিজেদের বিমান বহরের এফ-১৬ জেট বিমানগুলো বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর পরিবর্তে তারা নিজেদের তৈরি বিমান ব্যবহার করবে।
এছাড়া প্রশিক্ষণ জেট বিমান ও হালকা অ্যাটাক বিমান ‘হুরজেট'ও তৈরি করছে তারা, যা প্রথমবারের মতো আকাশে উড়বে ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ। তাদের টি-৩৮ প্রশিক্ষণ জেট বিমান এবং এফ-৫ বিমানগুলোর পরিবর্তে নতুন এই বিমান বহরে যুক্ত করা হবে।
বিমানের পাশাপাশি ভারি ওজনের গোলাবারুদ বহনের সক্ষমতাসম্পন্ন অ্যাটাক-২ হেলিকপ্টার যুক্ত হবে দেশটির সামরিক বাহিনীতে। ১১ টন ওজনের এই হেলিকপ্টারগুলো ১ দশমিক ২ টন ওজনের গোলাবারুদ নিয়ে দিনে রাতে সমানে অপারেশন চালাতে পারবে।
দেশটির ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়রাক্টার তাদের নতুন কমব্যাট ড্রোন বায়রাক্টার টিবি-টু তৈরি করছে। নতুন এই ড্রোনটিও আকাশে উড়বে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে। এছাড়া তুরস্ক যে ফ্ল্যাগশিপ টিসিজি আনাদোলু জাহাজ তৈরি করছে, সেটি হবে দেশের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ। এ বছর শেষ হওয়ার আগেই এটি নৌ-বহরে যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এগুলো ছাড়াও সাবমেরিন তৈরির দিকেও তারা অনেকখানি এগিয়ে গেছে। এর বাইরে নিজস্ব উৎপাদিত সাজোয়া যান, গোলাবারুদ ইত্যাদির ক্ষেত্রে তারা আরও উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ক্রমেই উল্লেখযোগ্য সামরিক শক্তি হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক।
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর