মরক্কো দলে ‘ইউরোপিয়ান একাদশ’
- Details
- by খেলাধুলা ডেস্ক
এবারের কাতার বিশ্বকাপের মহাবিস্ময় মরক্কো। ছুটেই চলেছে তাদের স্বপ্নযাত্রা। রূপকথার এই যাত্রার সারথি অনেকেই। একের পর এক ইতিহাস গড়ে চলেছেন তারা। বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়ার মতো দলকে টপকে আফ্রিকান দলটি হয়েছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
নক আউট পর্বে এসেও মরক্কোর চমক অব্যাহত থাকল। শেষ ষোলোর রাউন্ড থেকে তারা বিদায় করে স্পেনকে। কোয়ার্টার ফাইনালে এসে দলটি শিকার বানায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে। এর আগে গ্রুপপর্ব থেকে বেলজিয়ামের বিদায়ে মরক্কোর ছিল বড় ভূমিকা।
কাতার আসার আগে বিশ্বকাপে মরক্কোর সেরা সাফল্য ছিল ১৯৮৬ সালে নক আউট পর্বে খেলা। এবার নিজেদের ছাড়িয়ে গেছে তারা। আফ্রিকানদেরও স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে তারা। এর আগে ক্যামেরুন, ঘানা ও সেনেগাল বিদায় নিয়েছিল শেষ ষোলো থেকে।
মরক্কোর এই সাফল্যের একক নায়ক কেউ নন। দল হিসেবে খেলছে তারা। এর সুফল প্রতিটি ধাপেই পেয়েছে আফ্রিকান দলটি। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ৩২ দলের মধ্যে এই মরক্কো একেবারেই আলাদা। সেটি দুটি কারণে। এই মরক্কোকেই গোল দিতে পারেননি প্রতিপক্ষ দলের কোনো ফুটবলার।
এই দলটির আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে, ড্রেসিংরুমের বেশির ভাগ ফুটবলারের জন্ম মরক্কোর বাইরে। দলটির ২৬ সদস্যের ১৪ জনই এসেছেন বাইরে থেকে। এদের মধ্যে ১৩ জনের জন্ম হয়েছে ইউরোপ মহাদেশের কোনো না কোনো দেশে; একজনের নাড়ি পোঁতা আছে কানাডায়।
মরক্কান দলে সর্বোচ্চ চারজন করে ফুটবলার জন্ম দিয়েছেন বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসে। এ ছাড়া ফ্রান্সের ও স্পেনের দুজন করে আছেন দলে। অন্যজন ইতালিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাদের প্রত্যেকের বাবা-ই মরক্কান। কিন্তু জীবনের তাগিদে দেশ ছেড়েছেন তারা।
পাড়ি জমিয়েছেন কানাডা, বেলজিয়াম, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশে। এসব দেশে জন্ম নেওয়া বেশির ফুটবলার বেড়ে উঠেছেন সেখানেই। চাইলে দেশগুলোর হয়েও খেলতে পারতেন। কিন্তু তারা বেছে নিয়েছেন পূর্বসূরির দেশ মরক্কোকে।
জন্মগতভাবে তারা অন্য মহাদেশের হলেও আফ্রিকা ও আরব সংস্কৃতির প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। এ কারণেই ইউরোপের মতো দেশগুলোর জাতীয় ফুটবল দলের মোহ ছেড়ে মরক্কো জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন তারা। অথচ এসব ফুটবলারের সিংহভাগই খেলছেন ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে।
কাতার বিশ্বকাপের রূপকথার এই দলটি ২৬ সদস্যের। যার মধ্যে কেবল ১২ জনেরই জন্ম মরক্কোতে। চাইলে এটিকে দ্বিগণ্ডিত দল বানানো যায়। যার একপাশে থাকবেন মরক্কোতে জন্ম নেওয়া ফুটবলাররা এবং অন্য পাশে থাকবেন মরক্কোর বাইরে জন্মগ্রহণ করারা।
দলের মূল শক্তি অবশ্য ‘বাইরে’র খেলোয়াড়রাই। একাদশ তৈরির জন্য প্রতিটি বিভাগেই আছে পর্যাপ্ত ফুটবলার। যার নেতৃত্বে কাতারে স্বপ্নযাত্রা যাত্রা চলছে মরক্কোর, সেই রোমাইন সেইস ফ্রান্সে জন্ম নিয়েছেন। এ ছাড়া হাকিম জিয়াশ, আশরাফ হাকিমি, ইয়াসিন বুনুর মতো বিশ্বকাপ মাতানো খেলোয়াড়রাও মরক্কোতে জন্ম নেননি।
তবে জন্ম যেখানেই হোক আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাদের স্বপ্ন কেবলই মরক্কোকে ঘিরেই। ইউরোপ আমেরিকার চাকচিক্য ও অর্থের ঝনঝনানিতে টলে যাননি তারা। ফিরে এসেছেন বাপ-দাদার দেশে। তাদের ঘিরেই এখন বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দেখচেন মরক্কানবাসী। শুধু কি তারাই? না, গোটা আফ্রিকা মহাদেশই!
মরক্কো জাতীয় দলের ‘বাইরে’র ১৪ ফুটবলার:
১. ইয়াসিন বুনু (গোলরক্ষক): মন্ট্রিয়েল, কানাডা
২. মুনির মোহামেদি (গোলরক্ষক): মেলিলা, স্পেন
৩. আশরাফ হাকিমি (ডিফেন্ডার): মাদ্রিদ, স্পেন
৪. নুসাইর মাজরাও (ডিফেন্ডার): লিডারডর্প, নেদারল্যান্ডস
৫. রোমাইন সেইস (ডিফেন্ডার+অধিনায়ক): বোর্গ-ডি-পেগ, ফ্রান্স
৬. সোফিয়ান আমরাবাত (মিডফিল্ডার): হুইজেন নেদারল্যান্ডস
৭. হাকিম জিয়াশ (মিডফিল্ডার, উইঙ্গার): ড্রন্টেন, নেদারল্যান্ডস
৮. ইলিয়াস ছাইর (মিডফিল্ডার): অ্যান্টার্প, বেলজিয়াম
৯. সেলিম আমাল্লাহ (মিডফিল্ডার): হাউত্রেগ, বেলজিয়াম
১০. বিলাল এল খান্নুস (মিডফিল্ডার): স্ট্রমবিক-বেভার, বেলজিয়াম
১১. আনাস জারুরি (উইঙ্গার): মেচেলেন, বেলজিয়াম
১২. জাকারিয়া আব্দুখলাল (ফরওয়ার্ড): রটারডাম, নেদারল্যান্ডস
১৩. সোফিয়ান বুফাল (ফরওয়ার্ড): প্যারিস, ফ্রান্স
১৪. ওয়ালিদ ছেদ্যিরা: লরেতো, ইতালি
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.