ইমরান: অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনই রাজনৈতিক সংকটের সমাধান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান বলেছেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাপ্তি টানতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার লাহোরে জামান পার্কের বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন। খবর দ্য ডন, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

ইমরান খান

পিটিআইর অনেক সংসদ সদস্য, সমর্থক এবং কর্মী লাহোরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাঞ্জাব গভর্নর হাউসের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন, যাতে পাঞ্জাব গভর্নর বালিগুর রহমান মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ এলাহির বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারে। পিটিআই প্রধান বলেছেন, যে দুটি প্রদেশে তার সরকার রয়েছে, সেগুলো ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ শুক্রবার সেগুলো ভেঙে দেওয়ার চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে।

এর আগে গত বুধবার পাঞ্জাব গভর্নর বিধানসভার স্পিকার সিবতাইন খানের শাসনকে অসাংবিধানিক এবং বেআইনি ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ এলাহী সম্পর্কিত আস্থা ভোটের জন্য বুধবার বিকেল চারটায় একটি অধিবেশন আহ্বান করার ব্যাপারে তার নির্দেশ অমান্য করায় পাঞ্জাব গভর্নর এ ঘোষণা দেন। তবে সিবতাইন খান এই আদেশকে সংবিধানের পরিপন্থী বলে অভিহিত করেন এবং চলমান অধিবেশন শুক্রবার পর্যন্ত স্থগিত করেন।

লাহোরে গভর্নর হাউসের সামনে পিটিআই সমর্থকদের বিক্ষোভ, ভিডিও থেকে নেওয়া

ইমরান খান বলেন, আজ আমি পাঞ্জাবের পরিস্থিতি নিয়ে জাতির সাথে কথা বলতে চাই। অদ্ভুত এক পরিবেশ। শুরুতে পিএমএল-এন আমাদেরকে অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল, তারা বলেছিল যে তারা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু যখন আমরা সেটা করেছিলাম, তখন পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল।

এ সময় তিনি দেশে আরও অর্থনৈতিক ধ্বংস এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এড়াতে বিচারবিভাগসহ সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, আমরা ভয় পাচ্ছি সাধারণ নির্বাচন শীঘ্রই অনুষ্ঠিত না হলে সবকিছু হাতের বাইরে চলে যাবে।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি সবার লড়াই, কিন্তু যাদের অর্থ বিদেশে পড়ে আছে, এ লড়াই তাদের নয়। সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, জাতি চোরের দলকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এক ব্যক্তির পিটিআইয়ের সাথে শত্রুতা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই ব্যক্তি ইমরান খানকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, অথচ পিটিআই সরকারই দেশকে অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিকে নিয়ে গিয়েছিল। এ সরকারই পাকিস্তানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির হার এনে দিয়েছিল। এর আগে দেশ আর এতটা উন্নতি করেনি। অপরদিকে তিনি তার ৭০ বছরের জীবনে জাতিকে এর চেয়ে অন্ধকার সময়ে যেতে দেখেননি। তিনি মন্তব্য করেন, আমাদের দেশ দ্রুত বালুতে আটকে যাচ্ছে।