আফগান শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির বাজেট পাঁচগুণ করল ইরান

ইরান আফগানিস্তান থেকে আরও মহিলা শিক্ষার্থী গ্রহণ করার পরিকল্পনা করেছে। ক্ষমতাসীন তালেবানরা দেশটিতে মেয়েদের পড়াশোনার অনুমতি দিতে অস্বীকার করার পর ইরান নতুন করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি (আইআরএনএ) গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে, আফগান শিক্ষার্থীদের বৃত্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট পাঁচগুণ বাড়িয়েছে ইরান। মিডল ইস্ট মনিটর, তেহরান টাইমস।

শিক্ষার অধিকার চায় আফগান নারী শিক্ষার্থীরা

বর্তমানে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৭০ জন আফগান ছাত্র অধ্যয়ন করছে, যাদের প্রায় ২৫ শতাংশই নারী। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, এসব শিক্ষার্থীর অর্ধেকের বেশি বৃত্তি নিয়ে পড়ছে। বাজেট বৃদ্ধি ইরানকে আরও বেশি আফগান শিক্ষার্থীদের গ্রহণ করতে সক্ষম করবে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবে।

এর আগে আফগান বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের শিক্ষা স্থগিত করায় তালেবানের পদক্ষেপের জন্য ইরান দুঃখ প্রকাশ করে। ইরান মনে করে, আফগান নারী ও মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ইরান শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে আগ্রহী। আফগান মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে এমন খবর শুনে আমরা দুঃখিত।

তিনি বলেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান আশা করে আফগানিস্তান সরকার সকল স্তরে মেয়েদের স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার জন্য শিক্ষা পুনঃপ্রবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। যাতে তারা জ্ঞান অর্জনের অধিকার উপভোগ করতে পারে এবং দেশ গঠনে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে নারী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাইদ ইরাভানি জাতিসংঘে এক বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে আফগান নারী ও মেয়েদের অধিকার আরও চ্যালেঞ্জিং হবে।

ইরাভানি বলেন, প্রকৃতপক্ষে আফগান সরকার অঙ্গীকার রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। যদিও আফগানিস্তানের জন্য মানবিক সহায়তা অত্যাবশ্যক। এজন্য দেশটির অর্থনীতিকে বিশ্বনেতাদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।