কিউইদের হতাশায় ডোবালেন সরফরাজ

করাচিতে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্ট ড্র হয়েছে। ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়েরা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন। এ সময় বড় একটা বাহবা পেয়েছেন পাকিস্তানের উইকেট কিপার ব্যাটার সরফরাজ আহমেদ। নিউজিল্যান্ড খেলোয়াড়রা অভিনন্দন জানান এই ব্যাটারকে। তবে এই অভিনন্দন শুধু তার অসাধারণ শতকের জন্যই না। ম্যাচে তিনি যা করেছেন তা অবিশ্বাস্য। ম্যাচে জিততে থাকা কিউইদের হতাশায় ডুবিয়েছেন সরফরাজ। ড্র নিয়েই তাদের মাঠ ছাড়তে হয়। 

করাচি টেস্টের পঞ্চম দিনে সেঞ্চুরির পথে সরফরাজ আহমেদের একটি দৃষ্টিনন্দন শট

করাচি টেস্টের পঞ্চম দিনে পাকিস্তান ব্যাট করতে নামে হারের শঙ্কা নিয়ে। তা আরও প্রবল হয় দিনের শুরুতেই ইমাম-উল-হকের আউটের পর। কারণ পাকিস্তান মাত্র ১২ ওভারের মধ্যেই হারিয়ে ফেলে তাদের তৃতীয় ব্যাটার। তখনও যে বাকী দিনের পুরোটা পথ।

প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়ে অধিনায়ক বাবর আজম হাল ধরেন শান মাসুদকে সঙ্গে নিয়ে। তাদের দুজনের চেষ্টাও যে খুব বেশি দূর এগিয়ে দেয় তাও নয়। তাদের জোড়া উইকেট পতন হয় ইনিংসের ২৪ ওভারের মধ্যেই। বাবর ফেরেন মাত্র ২৭ রান করে। অন্যদিকে ৩৫ রান করে আউট হন মাসুদ।

এরপরের দুই সেশন শুধুই সরফরাজ আহমেদের। লম্বা বিরতির পর তিনি দলে ফিরেছেন, আর ফিরেই দিলেন নির্বাচক আফ্রিদির সিদ্ধান্তের প্রতিদান। করলেন ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা শতকটি। তার ১১৮ রানের শতকে ভর করে একটা সময় জয়ের পথেই ছিল পাকিস্তান।

তবে শেষে এসে তরী ডুবালেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। সৌদ শাকিল যখন আশা দেখাচ্ছিলেন মনে হচ্ছিল জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না পাকিস্তানকে। কিন্তু তিনি ফিরলেন অসময়ে। ১৪৬ বল খেলে সঙ্গ দেন সরফরাজকে। দুজনে মিলে গড়েন ১২৩ রানের জুটি। যে জুটিতে ম্যাচের মোড় ঘুরেছিল।

এরপর আক্রমণাত্মক খেলে আগা সালমান পাকিস্তানকে নিয়ে যান জয়ের আরও কাছে। তবে তিনিও থাকতে পারেননি শেষ পর্যন্ত। তাকে হারিয়েই বোধহয় একটু নড়বড়ে হয়েছিল সরফরাজের ব্যাট। তিনি যখন নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হয়ে ফিরলেন তখন ম্যাচ চলে যায় কিউইদের হাতে।

তবে কিউইরা পায়নি তাদের কাঙ্ক্ষিত জয়। সফরকারীদের জয় থেকে বঞ্চিত করেন পাকিস্তানের লেয়ার অর্ডার দুই ব্যাটার নাসিম শাহ ও আবরার আহমেদ।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন মিচেল ব্রেসওয়েল। দুটি করে উইকেট পান টিম সাউদি ও ইশ সোধি। একটি উইকেট যায় ম্যাট হেনরির পকেটে।
এই ড্রয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ অমীমাংসিতই থাকলো। দুটি টেস্টই ড্র হয়।

ম্যাচ ও সিরিজ সেরার পুরস্কার উঠেছে সরফরাজের হাতে। দুই টেস্টের চার ইনিংসে ফিফটি বা তার বেশি রান করেন তিনি। চার ইনিংসে ৩৩৫ রানেই তার হাতে উঠে এই পুরস্কার।