করোনা: একদিনে আরও ১১শ মৃত্যু

সারা বিশ্বে চলমান করোনা মহামারিতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১১শ’র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় পৌনে ৩ লাখে। ফলে বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৬ কোটি ৯২ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৭ লাখ ১৭ হাজার।খবর গুগল নিউজের।

ফাইল ছবি

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে মৃত্যুর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই রয়েছে ফ্রান্স, ব্রাজিল, হংকং, রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া।

বুধবার সকালে ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১০৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ৬২ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৭ লাখ ১৭ হাজার ৪২৩ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭২ হাজার ১৩৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫০ হাজার। ফলে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ কোটি ৯২ লাখ ৭২ হাজার ৩৮৮ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫ হাজার ৫০৪ জন এবং মারা গেছেন ২৫৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৮৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬০ হাজার ৪১১ জন মারা গেছেন।

 যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ২২২ জন এবং মারা গেছেন ২৪৫ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ২৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ২১ হাজার ৬৮৫ জন মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।