যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর আঘাতে ৬ জনের প্রাণহানি

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ছয়জন প্রাণ হারিয়েছেন। এতে দেশটির আলাবামা, জর্জিয়া এবং মিসিসিপির বেশ কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার গ্রাহক। খবর দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে টর্নেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি

১২ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার দেশটির দক্ষিণ জুড়ে এই টর্নেডো আঘাত হানে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা। এদিকে জর্জিয়া এবং আলাবামার গভর্নর ঝড়ের কবলে পড়া এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।

আউটাগা কাউন্টির স্থানীয় শেরিফের কার্যালযয়ের কর্মকর্তা মি. ওরাভেক জানিয়েছেন, শুক্রবার মধ্য দক্ষিণ ফ্লোরিডার কিছু অংশে বজ্রঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একদিন আগেই দক্ষিণ জুড়ে টর্নেডো আঘাত হানে। ফলে জারি করা সমস্ত টর্নেডোর পূর্বাভাসের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

আলাবামার গভর্নর কে আইভে টুইটারে বলেছেন, রাজ্যজুড়ে আঘাত হানা ঝড়ে ছয় নাগরিককে হারিয়ে আমি শোকাহত। তাদের প্রিয়জন ও পরিবারের জন্য আমার প্রার্থনা রইল। আমরা বিধ্বংসী আবহাওয়ার সাথে অনেক বেশি পরিচিত কিন্তু আমাদের লোকেরা দৃঢ়। আমরা এটি কাটিয়ে উঠব এবং আরও শক্তিশালী হব।

অটাউগা কাউন্টি করোনার বাস্টার বারবার বলেন, টর্নেডোর আঘাতে উড়ে আসা ধ্বংসাবশেষের নিচে পড়ে কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়। তবে বাকি নিহতদের বিষয়ে আর কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি।

প্রবল বাতাস এবং ভারী বৃষ্টির কারণে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং জর্জিয়া, মিসিসিপি ও অ্যালাবামার কিছু এলাকায় কয়েক হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং শার্লট ডগলাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বিত হয়েছে।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আলাবামায় প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহক এবং জর্জিয়ায় ৫৬ হাজারেরও বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন ছিলেন। তবে এই সমস্ত বিভ্রাট তীব্র আবহাওয়ার ফল কিনা তা স্পষ্ট নয়।