এরদোয়ান: নারী শিক্ষা বন্ধ করা অমানবিক-অনৈসলামিক

আফগানিস্তানের নারী শিক্ষার ওপর তালেবানের নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, এটি অমানবিক ও অনৈসলামিক। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ন্যায়পাল বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় এরদোয়ান এ মন্তব্য করেন। খবর আনাদোলু।

রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান

আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেওয়ার এক বছরের বেশি সময় পার হলেও নারী শিক্ষার ব্যাপারে এখনো অস্পষ্টতা রেখে দিয়েছে তালেবান। কখনও নারীদের বাড়িতে থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে, আবার কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। পরে আবার সেই অনুমতি রহিত করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল বরাবরই সোচ্চার। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। তিনি আফগানিস্তানের নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা নিষিদ্ধ করার আদেশকে অনৈসলামিক উল্লেখ করে নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের ধর্মে এমন কিছু নেই। তাই ইসলামের দোহাই দিয়ে এমন কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত নয়। ইসলাম এ ধরনের কোনো কিছু গ্রহণ করে না। বরং আমরা এমন একটি ধর্মের অংশ, যেখানে দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অন্বেষণের কথা বলা হয়েছে।

আফগানিস্তানের নারী শিক্ষার্থী

সম্প্রতি তুরস্ক ওআইসির একটি জরুরি বৈঠকের আয়োজন করে, যাতে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারকে নারী শিক্ষার উপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করার এবং শিক্ষাগত ও বেসরকারি সংস্থায় কাজ করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনার জন্য আফগানিস্তানে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর ব্য্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত বছরের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফিরে তালেবান। প্রথম অবস্থায় নারী শিক্ষার্থীদের ঘরে অবস্থানের নির্দেশ জারি করে তালেবান। পরে বিশেষ শর্তাধীনে কোনো কোনো স্তরের নারী শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে সর্বশেষ আদেশে তালেবান জানায়, আপাতত ক্লাস সিক্স পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতিতে অনুকূলে আসলে বাকিদেরও অনুমতি দেওয়া হবে।