ভিআইপি হজ কোটা বাতিল করছে ভারত

ভিআইপি হজ কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এতে করে ভারতের সাংবিধানিক পদাধিকারীদের সুপারিশ ও মনোনয়নের ভিত্তিতে রাষ্ট্রিয় খরচে হজ পালনের সুযোগ বন্ধ হচ্ছে। ভারতের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এ কথা জানিয়েছেন। খবর ইন্ডিয়া টুডে।

সাংবিধানিক পদাধিকারীদের সুপারিশ ও মনোনয়নে হজে যাবার ভিআইপি কোটা বাতিল করছে ভারত

স্মৃতি ইরানি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় হজ কমিটির জন্য নির্ধারিত ভিআইপি হজ কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতদিন এসব কোটায় মোট ৫০০ জন পর্যন্ত সরকারের খরচে হজে যেতে পারতেন। কোটা বাতিল হওয়ায় এখন থেকে আগ্রহীদের নিজস্ব উদ্যোগে হজে যেতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারত সরকারের নীতি অনুযায়ী সে দেশের জন্য নির্ধারিত হজ কোটার ৭০ শতাংশই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন হজ কমিটি অব ইন্ডিয়ার (এইচসিওআই) জন্য বরাদ্দ থাকে। বাকি ৩০ শতাংশ আসন বেসরকারি সংস্থাগুলোকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসব সংস্থা নিজেদের মর্জিমাফিক দামে আসনগুলো হজ গমনেচ্ছুদের কাছে বিক্রি করে থাকেন।

হজ কমিটির জন্য বরাদ্দ ৭০ শতাংশ আসনের মধ্যে মাত্র ৫০০টি এতদিন রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর মতো সাংবিধানিক পদাধিকারীদের জন্য নির্ধারিত ছিল। এর আওতায় তারা নিজেরা অথবা পছন্দের ব্যক্তিকে সরকারি খরচে হজে পাঠাতে পারতেন। বিজেপি সরকার এবার সে কোটা বাতিল করছে।

ভিআইপি কোটার বাইরে হজ কমিটির অবশিষ্ট আসনগুলো ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে বন্টন করা হয়। যে রাজ্যে মুসলিম জনগোষ্ঠীর আকার যত, তারা সে অনুপাতে আসন্ন বরাদ্দ পেয়ে থাকেন।

সরকারি কোটা বাতিলের প্রসঙ্গে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী টিভি নাইন ভারতবর্ষ চ্যানলেকে বলেন, ভিআইপি কালচার অবসানের জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে সাংবিধানিক পদাধিকারীদের জন্য এসব বিশেষ কোটা প্রবর্তন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতাগ্রহণের প্রথম দিন থেকে এসব ভিআইপি সংস্কৃতি বাতিলের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

স্মৃতি ইরানি বলেন, এখন থেকে হজ গমনেচ্ছু সবাইকে হজ কমিটি ও বেসরকারি ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে হজে যেতে হবে। এ বিষয়ে সরকার শীঘ্রই একটি পূর্ণাঙ্গ নীতি ঘোষণা করবে।