ওমরাহর জন্য মক্কার পথে ২৫ পাকিস্তানি বাইকার

মোটরসাইকেলে করে ওমরাহ পালনে সৌদি আরব যাচ্ছেন ২৫ পাকিস্তানি তরুণ। এই মোটরসাইকেল যাত্রাকে ‘জ্ঞানার্জন ও আলোর যাত্রা’ বলে অভিহিত করে তারা এর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছেন, ‘শান্তি, বন্ধুত্ব ও ধর্মীয় পর্যটন। আগামীকাল রোববার সৌদি আরবে প্রবেশ করার কথা রয়েছে তাদের। খবর আরব নিউজ।

ওমরাহর উদ্দেশ্যে চলছে বাইক কাফেলা

এই বাইক কাফেলার দলনেতা ও ক্রসরুট ক্লাবের চেয়ারম্যান মোকাররম তারিন জানান, সৌদি সরকার গত বছর ওমরাহযাত্রীদের জন্য বেশ কিছু নিয়ম সহজ করে দেয়। এছাড়া বিদেশি যাত্রীদের জন্য ভিসার সময়কাল তিন মাস বৃদ্ধি এবং ওমরাহ ভিসাধারীদের মক্কা ছাড়া অন্য শহর ভ্রমণেরও অনুমতি দেওয়ার পর তারা মক্কা ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন।

গত ৬ জানুয়ারি বাইকার দলটি লাহোর থেকে রওনা হয়। মক্কায় পৌঁছাতে তাদের পাড়ি দিতে হবে ১৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ। ৬০ দিনের এই যাত্রায় তারা ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, জর্ডান ও কুয়েত অতিক্রম করবেন। আগামীকাল রোববার তাদের সৌদি আরব পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তারা সেখানে ১৯ দিন অবস্থান করে ওমরাহ করবেন এবং বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করবেন।

পবিত্র বাইতুল্লাহ শরিফ

মোকাররম তারিন বলেন, আমরা ২০১৯ সালেই মোটরসাইকেলে করে লাহোর থেকে মক্কা ভ্রমণ করে ওমরাহ পালনের পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এখন সময় ও সুযোগ তৈরি হওয়ায় আমরা সৌদি আরব সফরে যাচ্ছি।

এ সময় তিনি জানান, ১৪ হাজার কিলোমিটারের এ সফরে প্রত্যেকের প্রায় ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি খরচ হবে। আর এটা করা হচ্ছে পুরোপুরি নিজেদের অর্থায়নে। তারা ওমরাহ পালনের পাশাপাশি আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে শান্তি, বন্ধুত্ব এবং ধর্মীয় পর্যটনের প্রচারণা চালাবেন।

বাইকার দলের আরেক সদস্য জাহাঙ্গীর খান বলেন, মোটরসাইকেলে করে ওমরাহ পালন করা তার ‘স্বপ্ন’ ছিল। এখন আমার স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে। তিনি জানান, ওমরাহ পালন শেষে তারা রিয়াদ, আল-রাওদাহ, তায়েফ, মদিনা, তাবুক ও উপকূলীয় বিভিন্ন পর্যটন এলাকা ভ্রমণ করবেন। এর আগে ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, জর্ডান ও কুয়েত অতিক্রমকালে সে সব দেশের ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে দেখেছেন।