একাই ৩৩ আসনে লড়বেন ইমরান খান

পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ৩৩টি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী মার্চে। পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) পক্ষ থেকে সবগুলো আসনে একাই প্রার্থী হবেন দলের প্রধান ইমরান খান। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

ইমরান খান

জানা গেছে, পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা গত বছরের এপ্রিলে এসব আসন থেকে পদত্যাগ করেন। তবে সাথে সাথেই এসব পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। কয়েক দফায় এসব পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার পর সম্প্রতি এসব আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন আগামী ১৬ মার্চ জাতীয় পরিষদের ৩৩টি শূন্য আসনের উপনির্বাচনে ভোট নেওয়ার ঘোষণা দেয়।

নিম্নকক্ষের ৩৩টি শূন্য আসনের মধ্যে ১২টি পাঞ্জাব প্রদেশের, আটটি খাইবার পাখতুনখোয়ার, তিনটি ইসলামাবাদের, ৯টি সিন্ধু থেকে এবং একটি বেলুচিস্তানের।

পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ

তফসিল ঘোষণার একদিন পর গতকাল রোববার রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশী জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মার্চে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের ৩৩টি আসনের সবগুলোতেই একা লড়বেন দলীয় প্রধান ইমরান খান। রাজনীতির মাঠ ফাঁকা রাখবে না পিটিআই।

এর আগে গত বছরের অক্টোবরে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের আটটি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখনও পিটিআইয়ের হয়ে একা প্রার্থী হন। আট আসনের উপনির্বাচনে ছয়টিতে জয় পান তিনি।

গত বছরের ৯ এপ্রিল আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান পিটিআই ইমরান খান। এর দুইদিন পর দলটির ১২৩ আইনপ্রণেতা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তারা স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমাও দেন। কিন্তু দীর্ঘ আট মাস এসব পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি স্পিকার। তবে সম্প্রতি ইমরান খান ওইসব আসন ব্যবহার করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের বিরুদ্ধেই আস্থা ভোট আয়োজনের হুমকি দিলে এসব পদত্যাগপত্র গ্রহণ শুরু হয়। ফলে এসব আসনে উপনির্বাচনের পথ খুলে যায়।

পাকিস্তানের সংবিধান মতে, যে কেউ একাধিক আসনে নির্বাচন করতে পারবেন। তবে একাধিক আসনে জয় পেলে একটি ছাড়া বাকিগুলো ছেড়ে দিতে হয়।