তুরস্ক: গ্রিসকে এফ-৩৫ দিলে নিরপেক্ষতা হারাবে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন কংগ্রেস যদি গ্রিসের কাছে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির অনুমোদন দেয় এবং তুরস্কের কাছে এফ-১৬ বিক্রির বিরোধিতা করে, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোতে নিরপেক্ষতা হারাবে বলে জানিয়েছে তুরস্ক। পাশাপাশি ওয়াশিংটন যদি সুইডেন-ফিনল্যান্ডের ন্যাটো সদস্য পদ দেওয়ার বিষয়ে এফ-১৬ চুক্তি পূর্বশর্ত দেয়, তাহলে তুরস্কের পক্ষে তা কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর।

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ও তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেছেন, আমরা এফ-১৬ প্রোগ্রাম সম্পর্কে শুনেছি, তারা ওইরকম একটি পূর্বশর্ত দেবে। আমরা এটাকে গুজব বলে মনে করছি। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমাদের প্রশাসনের তেমন কোনো অনুরোধ বা আশাবাদ নেই।

কালিন বলেন, সিনেটর বব মেনেনডেজসহ কিছু কংগ্রেস সদস্য বিষয়টিকে পূর্বশর্ত হিসেবে আনতে চাচ্ছেন। তবে কংগ্রেস যদি তা অনুমোদন দেয়, তাহলে ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে না। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো দাবি মেনে নেওয়ার মতো কোনো চিন্তা করার সুযোগ নেই আঙ্কারার।

তুরস্ক ২০২১ সালে ওয়াশিংটনের কাছে ৪০টি এফ-১৬ জেট এবং আধুনিকীকরণ কিটের জন্য অনুরোধ করেছিল। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট অনানুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসকে এ বিষয়ে অবহিত করেছে। আঙ্কারার দাবি, জেটগুলো শুধু তুরস্ককে নয়, বরং ন্যাটোকেই শক্তিশালী করবে।

কালিন মনে করেন, কোনো ধরনের শর্ত মেনে নিয়ে কোনো কিছু করার পরিকল্পনা তুরস্কের নেই। আমরা চাই ওয়াশিংটনের সাথে অস্ত্র চুক্তিটি কার্যকর থাকুক। বাইডেন প্রশাসন একই মনোভাব পোষণ করে বলে আঙ্কারা মনে করে।

ন্যাটো সদস্যপদ নিয়ে কালিন বলেন, তুরস্কের বক্তব্য একেবারে স্পষ্ট। সন্ত্রাসের মদদ দে্ওয়ার মনোভাব থাকলে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটো সদস্যপদ প্রক্রিয়া আগ্রসর হবে না। দেশ দুটি গত মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আবেদন করে। তবে তাদের সদস্য পদ আটকে দিয়েছে ন্যাটোর ৭০ বছরের পুরোনো সদস্য তুরস্ক।

তবে ফিনল্যান্ডের সদস্যপদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের গ্রিন সিগন্যালের ব্যাপারে কালিন বলেন, দুই দেশ একসঙ্গে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তুরস্ক মনে করে, তারা যদি ন্যাটো সদস্য পদ পায়, তাহলে একসঙ্গেই পাবে।