ফ্রি টিকেটে হংকং যাতায়াতের সুযোগ

সারাবিশ্বের যাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে পাঁচ লাখ বিমান টিকেট দেবে হংকং সরকার। মার্চ থেকে লটারির ভিত্তিতে এসব টিকেট বিতরণ করা হবে। ভাগ্যবান যাত্রীরা কোনো খরচ ছাড়াই বিমানযোগে হংকং যাওয়া-আসা করতে পারবেন। কোভিড পরবর্তী সময়ে পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কোভিডের আগে বছরে সাড়ে পাঁচ কোটির বেশি মানুষ হংকং ভ্রমণ করত

‘হ্যালো হংকং’ কর্মসূচির আওতায় এসব ফ্রি টিকেট বিতরণ করা হবে। হংকং সরকার গতকাল সন্ধ্যায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর আওতায় সবার আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর অধিবাসীরা আগামী ১ মার্চ থেকে ফ্রি টিকেটের জন্য লটারিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। পাঁচ লাখ টিকেটের জন্য হংকং সরকারের ২৫ কোটি ৪৮ লাখ ডলার ব্যয় ধরা হয়েছে।

হংকংভিত্তিক তিনটি এয়ারলাইন্স ক্যাথে প্যাসিফিক, এইচকে এক্সপ্রেস ও হংকং এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে মোট পাঁচ লাখ ফ্রি টিকেট বিতরণ করা হবে। এ তিনটি এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে ঢুকে লটারিতে নিবন্ধন করা যাবে। পাশাপাশি, ওয়ার্ল্ড অব উইনার্স স্প্ল্যাশ পেজেও লটারিতে নাম দেওয়া যাবে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানুষেরা আগামী ১ মার্চ থেকে লটারিতে নাম দিতে পারবেন। চীনের মূল ভূখণ্ডের অধিবাসীরা ১ এপ্রিল থেকে নাম দিতে পারবেন। বিশ্বের অন্যান্য অংশের অধিবাসীরা লটারিতে নাম দেওয়ার সুযোগ পাবেন মে মাস থেকে।

কোভিডজনিত বিধিনিষেধের কারণে হংকংয়ের অধিবাসীরা যেহেতু দুবছর ধরে কোথাও ভ্রমণের সুযোগ পাননি, তাই তাদের বিদেশে বা মূল চীনে যাতায়াতের জন্যও কিছু টিকেট রাখা হয়েছে। তবে তারা লটারিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন সবার পরে, জুলাই মাস থেকে।

কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে সবার আগে কড়াকড়ি আরোপ করেছিল যারা, তাদের অন্যতম হংকং। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে সব ধরণের ইন-পারসন ইভেন্ট বাতিল করে চীনের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলটির প্রশাসন। পরবর্তী দুই বছর হংকংয়ে যাতায়াত হয়ে পড়ে অনেক ব্যয়সাধ্য। যারাই আসা-যাওয়া করেছেন, তাদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে নিজ খরচে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছে।

কোভিডের আগে প্রতি বছর হংকংয়ে গড়ে ৫ কোটি ৬০ লাখ ভ্রমণকারীর সমাগম হতো। ২০২২ সাল নাগাদ এ সংখ্যা নেমে আসে মাত্র এক লাখে। ভ্রমণকারীদের ফিরিয়ে আনতেই পাঁচ লাখ বিনামূল্যে বিমান টিকেট বিতরণের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।