চীনকে রুখতে যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন নতুন সামরিক চুক্তি!

যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিপাইন সম্প্রতি একটি সামরিক চুক্তি ঘোষণা করেছে। চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে নতুন চারটি সামরিক ঘাঁটি করবে। পাশাপাশি তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চীনের সম্ভাব্য কঠোরতার কারণে ওয়াশিংটন নিজের সামরিক প্রভাব বৃদ্ধি করতে পারবে। গ্লেবলি নিউজ।

ফিলিপাইনে এখন থাকবে ৯টি মার্কিন সামরিক ঘাটিঁ

ফিলিপাইনের একেবারে উত্তরে অবস্থিত তাইওয়ান। চীনা উপকূলের একটি দ্বীপ হলেও নিজেকে স্বাধীন দেশ বলে মনে করে তাইওয়ান। তবে চীন তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখে এবং এটি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। সাম্প্রতিক সময়ে অঞ্চলটি ঘিরে চীনা প্রশাসন আরও কঠোর হয়েছে।

পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞরা সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সামরিক স্থাপনা সম্পর্কে একটি বই প্রকাশ করেছেন। তাতে বলা হচ্ছে, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি জোরদার এবং পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান ক্রমবর্ধমান সামরিক উত্তেজনার জন্য নতুন ওই চুক্তি ভূরাজনীতিতে খুবই গুরুত্ববহ।

খবরে বলা হচ্ছে, মার্কিন সামরিক চুক্তিটি মূলত ২০১৪ সালে করা একটি চুক্তির সম্প্রসারণ। চুক্তিটিকে বলা হয় উন্নত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি। নতুন চুক্তি মোতাবেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপাইনে চারটি অতিরিক্ত সামরিক ঘাঁটি গড়বে। এসব ঘাঁটিতে সামরিক সরঞ্জাম প্রতিস্থাপনেরও অনুমতি রয়েছে। আগের পাঁচটি ঘাঁটিও দেশটিতে থাকবে। এসব ঘাঁটিতে অবকাঠামো বিনিয়োগের জন্য ৮২ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের ঘোষণাও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৯টি ঘাঁটি ফিলিপাইনে থাকবে, যা আগামী ৩০ বছরের মধ্যে ফিলিপাইনে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির প্রতিনিধিত্ব করবে। চুক্তি অনুযায়ী ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনীকে ১০০ মিলিয়ন ডলার দেবে ওয়াশিংটন।

খবরে বলা হচ্ছে, ২০২২ সালে চীন সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সাথে একটি নতুন সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার ফলে শেষ পর্যন্ত সেখানে একটি স্থায়ী সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে পারে চীন। যুক্তরাষ্ট্রও গত ২ ফেব্রুয়ারি দ্বীপপুঞ্জে একটি দূতাবাস খুলেছে। অথচ গত ৩০ বছর ধরে সেখানে কোনো মার্কিন দূতাবাস ছিল না।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড জে. অস্টিন বলেছেন, ফিলিপাইনের সাথে ওই নতুন চুক্তিটিতে মার্কিন এবং ফিলিপাইনের সেনাদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আঞ্চলিক হুমকি হিসেবে আবির্ভুত হওয়া চীনের বিরুদ্ধে সামরিক তৎপরতায় ক্ষমতার ব্যবহার বাড়াতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।