রেকর্ড জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছেন বোলাররা। আরেকটু ছোট করে বললে বাংলাদেশের পেসাররা। সফরকারী আয়ারল্যান্ডকে অল্পতে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তারা। মামুলি রান তাড়া করতে নেমে হেসেখেলেই জিতে গেল টাইগাররা৷ আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইরিশদের বিপক্ষে ১০ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের রেকর্ড জয়

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আয়ারল্যান্ডকে ১০১ রানে অলআউট করে দেয় বাংলাদেশ। জবাবে তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের উদ্বোধনী জুটির ওপর দাঁড়িয়ে সহজ জয় তুলে নেয় টাইগাররা। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ। 

জয়ের জন্য এদিন বাংলাদেশ খরচ করেছে মাত্র ৭৯ বল। হাতে অক্ষত ছিল ২২১ বল। ওয়ানডে ক্রিকেটে এত বল হাতে রেখে আগে কখনো জেতেনি টাইগাররা। রেকর্ড জয়ের ম্যাচে তামিম ৪১ বলে ৪১ এবং লিটন ৩৮ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই প্রথম ১০ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ। দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে অবধারিতভাবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন হাসান মাহমুদ।

বাংলাদেশের পেসারদের নিয়ে একটা হাহাকার ছিল। অবশেষে আক্ষেপ দূর হলো। স্বপ্নের একটা দিন পার করলেন বাংলাদেশের পেসাররা। প্রথমবারের মতো ইনিংসের সবকটি উইকেট নিয়েছেন তারা। তাতে বিপর্যস্ত আয়ারল্যান্ড। তাদের অলআউট করতে বাংলাদেশকে খরচ করতে হয়েছে স্রেফ ২৮.১ ওভার।

আয়ারল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিতে মূল ভূমিকায় ছিলেন পেসার হাসান। প্রথমবারের মতো দেশের হয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তিনটি শিকার তাসকিন আহমেদের। অন্য দুই উইকেট নিয়েছেন আরেক পেসার ইবাদত হোসেন। যে কোনো সংস্করণে এই প্রথম প্রতিপক্ষের ১০ উইকেটের সবকটি নিলেন বাংলাদেশের পেসাররা।

ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুতেই মহাচাপে পড়ে আয়ারল্যান্ড। ২৬ রানের মধ্যে চার উইকেট নিয়ে আইরিশদের টপ অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। পরে উইকেটের রাশ টেনে ধরেন লোরকান টুকনার ও কার্টিস ক্যাম্ফার। পঞ্চম উইকেটে দুজন মিলে গড়েন ৪২ রানের জুটি। এই জুটি বিচ্ছিন্ন হতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন।

টুকনার ২৮ এবং ক্যাম্ফার ৩৬ রানে আউট হন। বাংলাদেশের পেস তোপে আইরিশদের বাকি নয় ব্যাটারের কেউ যেতে পারেননি দুই অংকে। দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয়ের কাজটা সহজ করে দিয়েছেন পেসাররা। পরে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা।