জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করল চাদ

উত্তর-মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে দেশটির সরকার। এর কারণ হিসেবে রাষ্ট্রদূতের সরকারবিরোধী মনোভাবকে সামনে আনা হচ্ছে। তবে প্রকৃত কারণ নিয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানায়নি চাদ। রাজধানী এনজামেনার কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

জার্মান কূটনীতিক ক্রিশ্চিয়ান গর্ডন ক্রিক

খবরে বলা হচ্ছে, গত শুক্রবার চাদের প্রেসিডেন্ট মহামত ইদ্রিস ডেবি ইতনো জার্মান কূটনীতিক ক্রিশ্চিয়ান গর্ডন ক্রিককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়তে নির্দেশ দেন। কূটনৈতিক অনুশীলনের প্রতি সম্মান না দেওয়ার জন্য তার এই বহিষ্কারাদেশ।

এরপর দেশে ফেরার জন্য গত শনিবার এয়ার ফ্রান্সের একটি ফ্লাইট ধরেন ক্রিক। চাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহামত সালেহ আন্নাদিফ এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল রোববার সরকারি মুখপাত্র আজিজ মাহামত সালেহ বার্তা সংস্থা এএফপিকে তার চলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চাদিয়ার একজন সরকারি কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, দেশের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে ক্রিক অতিরিক্ত হস্তক্ষেপে লিপ্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি চাদিয়ানদের বিভক্ত করার চেষ্টা করে আসছিলেন।

চাদের সামরিক সরকার প্রধান ডেবি ইতনো

জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাও তাদের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ক্রিক ২০২১ সালের জুলাই থেকে চাদে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

প্রেসিডেন্ট ইতনো ২০২১ সালের ২০ এপ্রিল যখন রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন তিনি একজন ৩৭ বছরের তরুণ। বিদ্রোহীরা তার বাবাকে হত্যা করার পর তিনি ক্ষমতায় বসেন। তার বাবা ৩০ বছর ধরে দেশটিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

সামরিক জান্তা প্রাথমিকভাবে অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে বেসামরিক নেতাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে গত অক্টোবরে ইতনোর শাসনের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়। সরকারের এই পদক্ষেপ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বয়কট করেছে।

জার্মান, ফ্রান্স, স্পেন এবং নেদারল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ সরকারের সমালোচনা করেছে। জানা গেছে, গত অক্টোবরে ইতনোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠার পর থেকে প্রধান বিরোধী নেতারা নির্বাসনে বা আত্মগোপনে রয়েছেন। এ পর্যন্ত ৭৩ জন নেতাকর্মী হত্যার শিকার হয়েছেন। তবে এনজিওগুলোর দাবি, প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হবে।