‘ডেম’ উপাধি পেলেন জেসিন্ডা আরডার্ন

নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নকে দেশটির অন্যতম সর্বোচ্চ সম্মান ‘ডেম’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। ২০১৯ সালে ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার ভূমিকা এবং করোনা মহামারির সময়ে তার অনন্য নেতৃত্বের জন্য সোমবার তাকে এ উপাধি দেওয়া হয়। খবর এএফপি।

জেসিন্ডা আরডার্ন

‘ডেম’ উপাধিটি মূলত যুক্তরাজ্যের রাজার দেওয়া অন্যতম সর্বোচ্চ সম্মানজনক উপাধি ‘নাইট’-এর সমতুল্য। তবে এটি কেবল নারীদেরই দেওয়া হয়ে থাকে।

দুটি বড় সংকট সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারায় নিউজিল্যান্ডে তার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। ফলে ২০২০ সালে তিনি খুব সহজেই দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে দেশটির মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়া এবং বসবাসের খরচ বৃদ্ধিতে তার জনপ্রিয়তার গ্রাফ ক্রমশই নিম্নমুখী হচ্ছিল। এ পরিস্থিতিতে গত জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ এবং রাজনীতি উভয়টি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন জেসিন্ডা আরডার্ন। তিনি সে সময় বলেছিলেন, জাতি বা দেশকে দেওয়ার জন্য তার কাছে আর তেমন কিছু নেই।

দুটি বড় সংকট সামাল দিয়েছেন বেশ দক্ষ হাতে

পরে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ক্রিস হিপকিনস। তিনি বলেন, ২০১৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন জেসিন্ডা আরডার্ন। আধুনিক সময়ে নিউজিল্যান্ড যে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হয়েছে, সে সময়গুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। তারই স্বীকৃতি হিসেবে তিনি রাষ্ট্রের অন্যতম সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘ডেম’ লাভ করেছেন।

রাজা তৃতীয় চার্লসের জন্মদিন ও অভিষেক উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরডার্নকে দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ সম্মান ডেম উপাধি দেওয়া হয়। গত ৬ মে যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক হয়েছে। তিনি নিউজিল্যান্ডেরও রাষ্ট্রপ্রধান।

এদিকে ‘ডেম’ উপাধি পাওয়া নিয়ে আরডার্ন বলেন, আমি এই সম্মাননা গ্রহণ করা নিয়ে দ্বিধান্বিত ছিলাম। কারণ, যেসব কৃতিত্বের কথা বলা হচ্ছে, আসলে এসব কাজের অধিকাংশই নিউজিল্যান্ডবাসীর সম্মিলিত অভিজ্ঞতার ফসল।

২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন আরডার্ন। ২০১৯ সালের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৫১ জন মুসল্লি নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়েছিল। পুরো পরিস্থিতি তিনি যেভাবে সামলেছেন, তা পুরো বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছিল। এছাড়া করোনার সময়েও তার নেওয়া পদক্ষেপের কারণে নিউজিল্যান্ডে কোভিডে আক্রান্ত বা মৃত্যুর হার ছিল একেবারেই কম। ফলে সেদিক দিয়েও রোল মডেল হয়ে ওঠেন জোসিন্ডা আরডার্ন।