ফাত্তাহ: ইরানের প্রথম হাইপারসনিক মিসাইল

শব্দের গতির চেয়ে ১৫ গুণ বেশি গতিতে গিয়ে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম ইরানের বানানো প্রথম হাইপারসনিক মিসাইল। ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম রাখা হয়েছে ফাত্তাহ, যার অর্থ দাঁড়ায় বিজয় বা প্রথম। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পছন্দেই বেছে নেওয়া হয়েছে এই নাম। খবর আল জাজিরা।

ইরানের বানানো প্রথম হাইপারসনিক মিসাইল ফাত্তাহ

আজ মঙ্গলবার মধ্যবর্তী পাল্লার এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে ইরানের সেনাবাহিনী ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বা আইআরজিসি। এ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে আইআরজিসির আরোস্পেস ফোর্স।

ইরান জানিয়েছে, প্রথমবারের মতো তৈরি এই হাইপারসনিক মিসাইলের পাল্লা ১৪০০ কিলোমিটার (৮৭০ মাইল)। এটি প্রতি সেকেন্ডে ছুটবে ১৬ হাজার ৮৮০ ফুট।

ক্ষেপণাস্ত্রটি সব ধরনের মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করতে সক্ষম। এতে কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করা হয়।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও জানিয়েছে, প্রচলিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বায়ুমণ্ডলের কম উচ্চতায় শব্দের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি গতিতে উড়ে যায়। এতে হাইপারসনিক আরও দ্রুত লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে সক্ষম হয় এবং প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও এই ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকাতে পারে না।

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, আইআরজিসির কমান্ডার ইন চিফ মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এবং আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমানে বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি দেশের হাতে হাইপারসনিক মিসাইল আছে। দেশগুলো হচ্ছে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া। এছাড়া জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জাপান, ইসরায়েল ও দক্ষিণ কোরিয়াও হাইপারসনিক মিসাইল তৈরির কার্যক্রম চালাচ্ছে।