এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি পুতিনের

মস্কো আবারও পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের হুমকি দিয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে আমরা পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করব। কিয়েভ যদি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানও পায়, সেগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হবে। গতকাল শুক্রবার সেন্ট পিটার্সবার্গে রাশিয়ার প্লাগশিপ ফোরামে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন। এমইএইচআর নিউজ।

ভ্লাদিমির পুতিন

পুতিন বলেন, রাশিয়ান রাষ্ট্রের অস্তিত্বের জন্য আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আর এজন্যই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু এখন তা ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। মস্কো ইতোমধ্যেই বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন শুরু করেছে বলে তিনি জানান। এই পদক্ষেপটি পশ্চিমের মাথা ব্যথার কারণ।

রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ইতোমধ্যে পারমাণবিক ওয়ারহেডের প্রথম চালান বেলারুশে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা গ্রীষ্মের শেষের দিকে বা বছরের শেষ নাগাদ এই কাজটি সম্পূর্ণ করব। আগামী বছরের মার্চে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন সম্পূর্ণ হবে।

পুতিনের মতে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য রাশিয়ার কৌশলগত সামরিক শক্তি প্রসারিত করা এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সামরিক আধিপত্যের মুখে মস্কোর প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। যেহেতু মস্কো গত বছর থেকে ইউক্রেনে একটি ‘বিশেষ সামরিক অভিযান‘ চালাচ্ছে।

রাশিয়া গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ওই সময় পুতিন বলেছিলেন, আক্রমণের লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের রুশপন্থী জনসংখ্যাকে রক্ষা করা। বিশেষ করে যারা পূর্ব ইউক্রেনীয় অঞ্চল দোনেস্ক ও লুহানস্কে বসবাস করে। তাদের অবস্থান কিয়েভ প্রশাসনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে। মস্কো আরও বলেছিল, অভিযানের উদ্দেশ্য ইউক্রেনকে ‘অসামরিকীকরণ‘ এবং ‘ডি-নাজিফাই‘ করা।

এদিকে পশ্চিমাদের হুশিয়ারি দিয়ে পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে সরবরাহ করা পশ্চিমা অস্ত্র সরঞ্জাম নিয়মিত ধ্বংস করা হচ্ছে। এমনকি জার্মানির লেপার্ড ট্যাঙ্কগুলোও ধ্বংস হচ্ছে। তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিমান মোতায়েনের ব্যাপারে পশ্চিমাদের সতর্ক করেন।