কাবুলে রাষ্ট্রদূতবিহীন দূতাবাস চালাবে ভারত

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, তারা আফগানিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসে কোনো রাষ্ট্রদূত না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে দূতাবাস চালু থাকবে। ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে বক্তৃতাকালে তিনি আরও বলেন, এখনই আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির বিশ্লেষণ করা ‘তাড়াতাড়ি’ হয়ে যাবে। তবে ভারত দেশটির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। খবর তোলোনিউজ।

এস জয়শঙ্কর

জয়শঙ্কর বলেন, আফগানিস্তানে এখন আমাদের যে অবস্থান রয়েছে, তা-ই থাকছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেখানে আমরা আমাদের দূতাবাসটি সচল রাখব। কিন্তু সেখানে আমরা আমাদের কোনো রাষ্ট্রদূত পাঠাবো না। অনেক দেশ কাবুলে তাদের রাষ্ট্রদূত পাঠিয়েছে। আমরা সেটি করছি না।

তিনি বলেন, আমরা বরং ওইসব জিনিসের দিকে লক্ষ্য দিতে চাই, যা আফগান জনগণের কাজে লাগবে। তাদের উপকারে আসবে। আমরা সেখানে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি, করোনার সময় ভ্যাকসিন পাঠিয়েছি। সেখানে বহু আগে আমাদের বানানো একটি হাসপাতালে ওষুধ পাঠিয়েছি। এভাবে আমরা আফগান জনগণকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।

আফগানিস্তানে ভারতীয় দূতাবাস

তবে আগামীতে আমরা কীভাবে আরও এগিয়ে যাব, তা ঠিক করতে মনে হয় আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে। কারণ আফগানিস্তানসহ বিশ্বের যে কোনো জায়গায় আমরা বলতে পারি না, আমরা কেবল আমাদের পছন্দের শাসনব্যবস্থার সঙ্গেই কাজ করবো। আফগানিস্তানে যা হচ্ছে, তা সম্পর্কে অবাস্তব ধারণা নিয়ে থাকা আমাদের জন্য ঠিক হবে না।

এর আগে আফগানিস্তান ভারতকে কাবুলে তাদের দূতাবাস চালুর আহ্বান জানিয়ে বলেছিল, আফগানিস্তানে ভারতের রাষ্ট্রদূতসহ সব কর্মীই নিরাপদে থাকবে। আফগান সরকারের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছিলেন, তাদের দূতাবাস খোলা উচিত। আমরা তাদের আশ্বস্ত করছি, আফগানিস্তানে তাদের জন্য কোনো বিপদ নেই এবং আমরা এই বিষয়ে সহযোগিতা করব। দূতাবাসের মাধ্যমে ভারতের কূটনৈতিক সহযোগিতার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে আরও বেশি যোগাযোগ তৈরি হতে পারে এবং দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস বাড়তে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আফগানিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে।

২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের পূর্ববর্তী সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয় তালেবান। সে সময় নিরাপত্তাজনিত কারণে আফগানিস্তান থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতসহ অন্যান্য কর্মীকে সরিয়ে নেয়।