ফিলিস্তিন-গাজার সঙ্গে ‘পূর্ণ সংহতি’ পুনর্ব্যক্ত করেছে ইরাক

ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে হামাসের ‘অপারেশন আল আকসা ফ্লাড’ তৃতীয় দিনে প্রবেশ করেছে। এরই মধ্যে ইরাকি সরকার ফিলিস্তিনের প্রতি দেশটির সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। 

বাগদাদের ছবি

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানী, ৮ অক্টোবর, রোববার জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে দুটি পৃথক ফোন কলে কথা বলেছেন। 

ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নেতারা ক্রমবর্ধমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ নিয়ে কথা বলেছেন। তারা এই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য এর বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

বিশিষ্ট শিয়া ধর্মগুরু মোক্তাদা আল সদর গাজার জনগণকে সমর্থন করার জন্য ১০ লাখ লোকের অংশগ্রহণে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আহ্বান জানিয়েছেন।

ইরাক সরকারের মুখপাত্র বাসিম আল আওয়াদি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ইরাকি সরকার এবং জনগণের সমর্থন আগের মতোই আছে। ফিলিস্তিনি জনগণের আশা-আকাঙ্খা এবং তাদের বৈধ অধিকারের প্রতি আমাদের সংহতি প্রকাশ করছি।' 

ইরাকের প্রেসিডেন্ট আবদুল লতিফ রশিদ, ৭ অক্টোবর, শনিবার এক বিবৃতিতে, ফিলিস্তিনি ইস্যুতে ইরাকের অবিচল অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের বৈধ অধিকার অর্জনে পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছেন। তিনি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নৃশংস হামলারও তীব্র নিন্দা করেন এবং ন্যায়বিচার অর্জন ও ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তার আইনি ও নৈতিক দায়িত্ব গ্রহণের আহ্বান জানান।

এদিকে ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসাবে পরিচিত ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস (পিএমএফ) গাজায় প্রতিরোধের জন্য সংগঠনটির পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করেছে। তবে তারা গাজার আল কাসাম ব্রিগেডের সঙ্গে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য বাহিনী পাঠাবে কিনা তা নিশ্চিত করেনি।

ইরাকের আইন অনুসারে, সমস্ত ইরাকি, তা দেশের অভ্যন্তরে বা বাইরে হোক, পাশাপাশি উত্তর কুর্দিস্তান অঞ্চলের লোকেরাসহ রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা, সরকারি প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি খাতের কোম্পানি, মিডিয়া, বিদেশী কোম্পানি, এবং তাদের কর্মচারীদের ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন, ইসরায়েল ভ্রমণ বা দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর, শনিবার সকালে হামাস ইসরায়েলে রকেট হামলা করে। একইসঙ্গে হামাসের যোদ্ধারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করে। গাজা উপত্যকা শাসনকারী এই গোষ্ঠীর হামলায় ৭ শতাধিক ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ জনের বেশি ইসরায়েলি সেনা ছিল। এছাড়া শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস।

সূত্র: দ্য নিউ আরব