ইউক্রেনকে দেওয়া অস্ত্র হামাসের হাতে! রাশিয়াকে দুষছে কিয়েভ

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলার ক্ষেত্রে যেসব অস্ত্র ব্যবহার করেছে তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের তৈরি বলে দাবি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এই দাবিও করা হচ্ছে, এসব অস্ত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে কিয়েভকে দেওয়া হয়েছিল। তবে কিয়েভ দাবি করছে, রাশিয়া যুদ্ধের সময় দখল করা এসব অস্ত্র হামাসকে দিয়ে ইউক্রেনকে অসম্মান করতে চাইছে, একই সঙ্গে মিত্রদের সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। খবর আল আরাবিয়া।

ইউক্রেনে পাঠানো মার্কিন অস্ত্র

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া কিয়েভকে অসম্মান করতে এবং পশ্চিমা মিত্রদের সাথে তাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করার জন্য ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় দখলকৃত ‘ট্রফি অস্ত্র’ হামাসকে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এসব অস্ত্রের প্রস্তুতকারক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাশিয়ার গোয়েন্দারা মধ্যপ্রাচ্যে ইউক্রেনকে লজ্জায় ফেলার জন্য এ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে দাতা দেশগুলোকে বড় আকারের উস্কানি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলাকে ব্যবহার করছে।

ইসরায়েলে হামলার পর সেনাদের টহল

ইউক্রেনের গোয়েন্দারা দৃঢ়ভাবে দাবি করছে, গত দেড় বছরের যুদ্ধে এসব ট্রফি অস্ত্র ইউক্রেনের সেনাদের কাছ থেকে আটক করেছে। পরে সেগুলো তারা হামাস সদস্যদের দিয়েছে। গোয়েন্দারা বলেন, রাশিয়া যেভাবে চক্রান্ত করছে, তার পরবর্তী ধাপটি হওয়া উচিত, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে সন্ত্রাসীদের কাছে পশ্চিমা অস্ত্র বিক্রি করার মিথ্যা অভিযোগ করা।

মূলত ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে অসম্মান করা এবং তার পশ্চিমা অংশীদারদের দ্বারা ইউক্রেনকে দেওয়া সামরিক সহায়তা বন্ধের জন্য রুশ কর্তৃপক্ষ এ নাটক সাজিয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

গত দেড় বছর ধরে চলা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ইউক্রেনকে পর্যাপ্ত পরিমাণে অস্ত্র সরবরাহ করেছে। ইসরায়েল এ ব্যাপারে বারবার অভিযোগ করে এসেছে, ইউক্রেনকে দেওয়া এসব অস্ত্র ইরান, হামাস, হিজবুল্লাহসহ বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে চলে যাচ্ছে, যা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে পারে। ইউক্রেন তখন কড়া ভাষায় এর প্রতিবাদ জানায়। তবে হামাসের সাম্প্রতিক হামলায় ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে এসব অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে বলে দাবি উঠার পর কিয়েভ তার মতামত জানায়।