রূপপুরে পৌঁছেছে ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান পৌঁছেছে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে। রাজধানী ঢাকা থেকে ভোরে রওনা হয়ে ‘ফ্রেশ নিউকিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়ির বহর শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে রূপপুরে প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা

পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে নাটোরের বনপাড়া ও ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া হয়ে ইউরেনিয়ামবাহী গাড়িবহর রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছায়। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রথম ও দ্বিতীয় চালানের মতো ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালানও রূপপুর এলাকায় পৌঁছেছে।

এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জ্বালানির প্রথম চালান দেশে আসে। পরদিন বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ওই ইউরেনিয়াম জ্বালানি প্রকল্প এলাকায় নেওয়া হয়।

এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যে ওই জ্বালানি হস্তান্তর অনুষ্ঠান হয়। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের পারমাণবিক বিদ্যুৎ জ্বালানির ক্লাবে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান রূপপুরে পৌঁছায় গত ৬ অক্টোবর।

প্রসঙ্গত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের অন্যতম বৃহৎ জ্বালানি প্রকল্প। প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যয় করা হচ্ছে ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। অন্যদিকে ঋণ সহায়তা হিসেবে রাশিয়া থেকে আসছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশের প্রথম এই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে ২০২৪ সালের প্রথম দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি। দুটি ইউনিট পুরো চালু হলে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ২৪০০ মেগাওয়াট।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ভৌত ও অবকাঠামোগত কাজ ৯০ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে। এদিকে জ্বালানিও চলে এসেছে। তাই খুব শিগগিরই উৎপাদনে যেতে পারবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র। এছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭০ শতাংশের বেশি।