কাশ্মির নিয়ে মন্তব্যের জেরে বিচারের মুখে অরুন্ধতী রায়

বুকারজয়ী বিখ্যাত লেখক অরুন্ধতী রায়ের ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের কট্টর সমালোচক হিসেবে খ্যাতি রয়েছে। কিন্তু ২০১০ সালে কাশ্মির নিয়ে তার করা একটি মন্তব্যের কারণে এখন তিনি ভারতে বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন। ১১ অক্টোবর, বুধবার ভারতীয় গণমাধ্যমে এই সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।

বুকারজয়ী বিখ্যাত লেখক অরুন্ধতী রায়

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা অরুন্ধতী রায় এবং সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব কাশ্মিরের অধ্যাপক শেখ শওকত হুসেনের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছেন।

২০১০ সালে মানবাধিকার একটি গোষ্ঠী আয়োজিত এক সম্মেলনে অরুন্ধতী রায় বলেছিলেন, 'কাশ্মির ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়'। এরপর একই বছর কাশ্মিরের একজন সমাজকর্মী তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। 

এখন ১৩ বছর পর এই মামলা চালানোর অনুমতি কেন দেওয়া হলো তা স্পষ্ট নয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই বিষয়ে জানার জন্য গভর্নর ভি কে সাক্সেনার কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

কাশ্মির নিয়ে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে দুইবার যুদ্ধ করেছে ভারত। এছাড়া এই অঞ্চল নিয়ে অগণিত সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে দুই দেশ। কারণ কাশ্মিরকে পাকিস্তানও নিজের অংশ বলে মনে করে।

কাশ্মিরে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় সেনা মোতায়েন রয়েছে। বিশ্বের আর কোনো অঞ্চলে এত বেশি সংখ্যক সেনা মোতায়েনের নজির নেই। ১৯৮৯ সালে এই অঞ্চলে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয়। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত ভারতীয় সেনাদের হাতে হাজার হাজার বেসামরিক কাশ্মিরি নিহত হয়েছে। 

২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদির সরকার ভারতীয় সংবিধান প্রদত্ত কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বা স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহার করে নেয়।

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে অরুন্ধতী রায় তার ‘দ্য গড অব স্মল থিংস’ উপন্যাসের জন্য বুকার প্রাইজ পান। তিনি বুকারজয়ী প্রথম ভারতীয় লেখক। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতে সংখ্যালঘুদের প্রতি যে অত্যাচার করা হচ্ছে, তিনি তার বিরুদ্ধে প্রচুর লেখালেখি করেছেন এবং বক্তৃতাও দিয়েছেন। বাক স্বাধীনতা দমন করার জন্য তিনি মোদির সরকারের কঠোর সমালোচনাও করেছেন।

সূত্র: রয়টার্স