নেতানিয়াহুর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বললেন এরদোয়ান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জানিয়েছেন, তিনি আশা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ‘গাজার কসাইদের’ বিশেষ করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলন থেকে ফেরার পথে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।

রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান

২ ডিসেম্বর, শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এরদোয়ান গাজা উপত্যকায় নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রদানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকায় গণহত্যার জন্য ইসরায়েলি নেতাদের শাস্তি দিতে আইসিসিকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে তার দেশ।  

গাজায় ইসরায়েলি সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে এরদোয়ান বলেছেন, ‘এটি একটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারি না।' 

তুর্কি প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেছেন, গাজায় নেতানিয়াহু প্রশাসনের গণহত্যা ইতিহাসে একটি ‘কালো অধ্যায়’ হিসেবে খোদাই করা হয়েছে। এছাড়া এটিকে নিঃশর্তভাবে সমর্থনকারী দেশগুলিও একই অপরাধে অপরাধী। ইতিহাস তাদেরও ছাড় দেবে না।

তিনি যোগ করেছেন, ইসরায়েলকে সমর্থনকারী পশ্চিমা দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উদাসীনতা বিশ্ব কখনো ভুলবে না। অতীতে গণহত্যার শিকার ইসরায়েলিরা এখন হত্যাকারীতে পরিণত হয়েছে। 

এদিকে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির সমাপ্তি ঘোষণা করার পর ১ ডিসেম্বর, শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় আবারও বোমাবর্ষণ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৭৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৫৮৯ জন আহত হয়েছে। 

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

২৪ নভেম্বর থেকে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে ৪ দিনের সাময়িক একটি যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। পরবর্তীতে এটিকে প্রথমে ২ দিন, এরপর আরও ১ দিনসহ মোট ৩ দিন বাড়ানো হয়। এ সময়ের মধ্যে জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এদের বেশিরভাগই শিশু এবং নারী ছিল। অপরদিকে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি প্রাণ হারিয়েছে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি