রাশিয়ার অভিযোগের জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ‘একেবারে মিথ্যা’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়কারী জন কিরবি এক ব্রিফিংয়ে রাশিয়ার করা মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধে অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জন কিরবি

এক সাংবাদিক বলেন, সম্প্রতি রাশিয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছে। জানা গেছে, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সাথে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন। এছাড়াও, তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে যে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের শিকার হচ্ছেন, তার জন্য নিজের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগও ব্যক্ত করেছেন।

এই অভিযোগ সম্পর্কে এবং হাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী, জানতে চান সাংবাদিক।

উত্তরে জন কিরবি বলেন, "আমরা নৌবাহিনীতে এ ধরনের অভিযোগের জন্য একটি দুই বর্ণের শব্দ ব্যবহার করতাম, যা এখন আপনাদের কাছে উল্লেখ না করাই ভালো। শুধু বলব এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং রাশিয়াও জানে এটি মিথ্যা। এটি কেবল রাশিয়ার ক্লাসিক প্রচারণা।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, আমরাও তাই চাই। তা হলো একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আর এটাই রাষ্ট্রদূত চান। তার দল বাংলাদেশি সমাজের সব শ্রেণির সঙ্গে কাজ করছে এবং করবে, যার মধ্যে রয়েছে নাগরিক সমাজ, বিরোধী দল এবং ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ, সেইসাথে বর্তমান সরকারও। এই কাজের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা। আমরা ঠিক এটাই করছি।"

একই সাংবাদিক এরপর বলেন, ইন্ডিয়া টুডে রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত, চীন এবং রাশিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করার জন্য একই পক্ষে রয়েছে এবং বাংলাদেশের বর্তমান শাসনব্যবস্থা আরেকটি একতরফা নির্বাচন, বিরোধীদলের ওপর দমন-পীড়ন ও বিরোধীদলের নেতাদের কারাগারে আটকানোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাহলে আপনি কি আপনার অবস্থান থেকে সরে আসছেন, যেহেতু আপনি বলছেন যে আপনি বাংলাদেশে একটি স্বাধীন, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেবেন?

উত্তরে কিরবি বলেন, “আমরা বাংলাদেশে একটি স্বাধীন ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করি এবং আমরা এই অবস্থান বজায় রাখব। আমরা বিদেশি নির্বাচনে কোনো পক্ষকে সমর্থন করি না, এবং এটি বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন হবে না। আমরা একটি স্বাধীন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। আমরা রাষ্ট্রদূতের টিমের সঙ্গে যেমনটা করছি, বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করার জন্য যা করা যায় তা করতে থাকব।”