কৃৃষ্ণসাগরে রুশ রণতরী ধ্বংস ইউক্রেনের হামলাতেই

ইউক্রেনের হামলায় কৃষ্ণ সাগরে একটি রুশ যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস হয়ে গেছে। সোমবার রাতে রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়ার ফিওদেসিয়া বন্দরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাশিয়া। খবর বিবিসির।

কৃষ্ণ সাগরে রুশ যুদ্ধজাহাজ নভোচেরকাস্ক ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেন

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্বীকার করেছে, যুদ্ধবিমান অবতরণের জন্য ল্যান্ডিংশিপ খ্যাত বিশাল রণতরী নভোচেরকাস্কে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবিমান গাইডেড মিসাইল দিয়ে হামলা চালায়।

ক্রিমিয়ার রাশিয়া নিযুক্ত গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ জানান, ফিওদেসিয়ায় হামলা চালিয়েছে শত্রুরা। একটি রণতরী বিস্ফোরণে থেমে গেছে এবং কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

আকসিওনভ বলেন, ওই হামলার ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এর আগে দাবি করে, ক্রিমিয়ার বন্দরে হামলা চালিয়ে রুশ রণতরী নভোচেরকাস্ক ধ্বংস করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী দাবি করে, ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে রুশ নৌবহরের একটি জাহাজ ধ্বংস করেছে তারা। ওই রণতরীতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ড্রোন বোঝাই করে এনেছিল রাশিয়া।

ড্রোনগুলো ইরান থেকে আনা হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের।

টেলিগ্রামে এক পোস্টে ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী বলেছে, সোমবার রাত আড়াইটার দিকে ফিওদেসিয়া বন্দরের কাছে কৃষ্ণসাগরে রুশ রণতরীতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালানো হয়েছে।

ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনীর কমান্ডার মিকোলা ওলেচচক রুশ রণতরীতে বিস্ফোরণের ভিডিও পোস্ট করেন টেলিগ্রামে।

ক্রিমিয়ায় রুশ নৌবাহিনীর অন্যতম ঘাঁটি ফিওদেসিয়া। রুশ সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইউক্রেন প্রায়ই ক্রিমিয়ায় হামলা চালিয়ে থাকে। কৃষ্ণসাগরেই গত বছর এপ্রিলে ক্রুজার মস্কোভা ডুবিয়ে দিয়েছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী।

২০২২ সালের ফ্রেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। প্রায় দুই বছরের এই যুদ্ধে উভয়পক্ষের লাখো সেনা হতাহত হয়েছে। যুদ্ধে রাশিয়া ইউক্রেনের লোহানস্ক, দোনেৎস্কসহ কয়েকটি অঞ্চল দখল করে নিয়েছে। ক্রিমিয়া দখলে নিয়েছে আরও আগেই।