ইরাকে ফের ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরাকে ফের ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের তিনটি স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনা ও জোট মিত্রদের বিরুদ্ধে হামলার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় পাল্টাপাল্টি হামলা বেড়েছে। খবর বিবিসির।

সমানুপাতিক হামলা বলছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, ইরাকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনী ও কাতাইব হিজবুল্লাহর স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

সেন্টকম বলেছে, কাতাইব হিজবুল্লাহর সদর দফতর, রকেট, ক্ষেপণাস্ত্রসহ অস্ত্র গুদাম এবং একমুখী আক্রমণে ব্যবহৃত ড্রোন পরিচালনার স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। তবে

ইরাকে মিলিশিয়া লক্ষ্যবস্তু ও স্থাপনাগুলো কোথায় অবস্থিত সে সম্পর্কে কোনও বিবরণ দেয়নি মার্কিন সামরিক বাহিনী।

মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, কাতাইব হিজবুল্লাহ মিলিশিয়া গোষ্ঠী এবং অন্যান্য ইরান-সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে আগের হামলার সমানুপাতিক মাত্রায় হামলা চালানো হয়েছে।

গত সপ্তাহে পশ্চিম ইরাকে আল আসাদ বিমানঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালায় ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা। তাতে বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা সদস্য আহত হন। ইরাকে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স নামে পরিচিত একটি গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

অস্টিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ও তার সেনাবাহিনী আমেরিকান স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবেন না।

তিনি আরও বলেন, আমরা এই অঞ্চলে সংঘাত বাড়াতে চাই না। আমরা আমাদের জনগণ এবং মিত্রদের রক্ষার জন্য আরও ব্যবস্থা নিতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। আমরা এই গোষ্ঠী ও ইরানি পৃষ্ঠপোষকদের অবিলম্বে এই হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংকট্যাঙ্ক ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির তথ্য অনুসারে, এই ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স নামের গোষ্ঠীটি ২০২৩ সালে আবির্ভূত হয়েছে এবং ইরাকে বেশ কয়েকটি ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত। গোষ্ঠীটি গত কয়েক মাস ধরে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।