দক্ষিণ আফ্রিকা: সব রাষ্ট্রকেই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীকে অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে

দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি পান্দর বলেছেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া রায়ে সবকিছু স্পষ্ট করে দেওয়ার পর সব দেশের ওপর গাজায় ইসরায়েলের সামরিক কর্মকাণ্ডে সহায়তা বন্ধ করার বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়েছে। খবর মিডলইস্টমনিটর ও রয়টার্স।

দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি পান্দর

আইসিজে গত সপ্তাহে ইসরায়েলকে তার সৈন্যদের গাজায় গণহত্যা চালানো থেকে বিরত এবং গাজায় ফিলিস্তিনিদের মানবিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নিতে সম্ভব সব ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে, এমন অভিযোগ এনে দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক এই আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিল। তবে গাজায় গণহত্যা চলছে- দক্ষিণ আফ্রিকার এই মূল বিষয়ে আইসিজে এখন পর্যন্ত কোনো রায় দেননি। জানা গেছে, এই রায় আসতে কয়েক বছরও সময় লেগে যেতে পারে।

দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি পান্দর সাংবাদিকদের বলেন, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনী যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তা আইসিজের রায়ে স্পষ্ট হয়ে গেছে এবং এটি বিশ্বাসযোগ্য। তাই এই রায় সমস্ত রাষ্ট্রের ওপর ইসরায়েলের সামরিক কর্মকাণ্ডে সব ধরনের অর্থায়ন এবং সহায়তা বন্ধ করার জন্য একটি বাধ্যবাধকতা আরোপ করে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা

আইসিজের দেওয়া রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এটিকে ন্যায়বিচারের দিকে একটি পদক্ষেপ হিসাবে স্বাগত জানান। তিনি আশা করছেন ইসরায়েল এটি মেনে চলবে। তবে ইসরায়েল গণহত্যার এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তারা নয়, বরং এই হত্যাকাণ্ডের জন্য হামাসই দায়ী।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় তাণ্ডব চালিয়ে প্রায় পুরো অঞ্চলটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েল। বিশ্বের বহু দেশ এমনকি ইসরায়েলের মিত্ররাও তাদেরকে এ লড়াই থামানোর আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল লড়াই থামানোর ব্যাপারে কারো কথাতেই কর্ণপাত করেনি। এমনকি আইসিজেতে এ গণহত্যা থামানোর ব্যবস্থা নিতে বললেও গত কয়েক দিনের হামলায় তার কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।